খুলনায় করোনায় মৃত্যু ৬০০ ছাড়াল
খুলনায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ৬০০ ছাড়িয়েছে। একই সঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার। করোনায় মৃত ও আক্রান্তের দিক থেকে বিভাগে শীর্ষে রয়েছে খুলনা আর সর্বনিম্নে মেহেরপুর।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতর সূত্রে জানা যায়, করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে বৃহস্পতিবার (২০ মে) সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় শনাক্ত হয়েছে ৩২ হাজার ৭৩৮ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০১। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩০ হাজার ৪০৫ জন।
এদিকে বিভাগে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক থেকে খুলনা জেলা শীর্ষে রয়েছে। এ পর্যন্ত খুলনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৭২৬ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৬১ জন। সুস্থ হয়েছেন ৮ হজার ৭৭৪ জন।
এ ছাড়া বাগেরহাটে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৬১ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৬ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হজার ৩৮১ জন। সাতক্ষীরায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩৬৫ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৪ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হজার ২৩৯ জন।
যশোরে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৬৩৫ জন। মারা গেছেন ৭৬ জন। সুস্থ হয়েছেন ৬ হজার ২৭৮ জন। নড়াইলে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮৫০ জন। মারা গেছেন ২৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হজার ৮০৪ জন।
মাগুরায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৪৯ জন। আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ২৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ১৫৭ জন। ঝিনাইদহে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৮৫৩ জন। মারা গেছেন ৫৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ২ হজার ৬৩৭ জন।
কুষ্টিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৭৪৫ জন। আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ১০৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৫২৮ জন। চুয়াডাঙ্গায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯০৭ জন। মারা গেছেন ৫৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৭৮৬ জন।
সর্বনিম্নে রয়েছে মেহেরপুর। এখানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৪৭ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ৮২১ জন।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা বলেন, খুলনা ও যশোরে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। ঘরের বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে। মাস্ক ছাড়া কোনোভাবেই চলাচল করা যাবে না।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, খুলনায় করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৯ জন। যার মধ্যে আইসিইউতে রয়েছে ৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দুইজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
মোহাম্মদ মিলন/এসপি