সমন্বয়ক দাবি করা সোহেলকে ‘ভুয়া’ আখ্যা দিয়ে ছাত্রদলের দায় অস্বীকার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীর সমন্বয়ক দাবি করা সোহেল রানাকে ‘ভুয়া’ বলে আখ্যায়িত করেছে ছাত্রদল। এছাড়া সোহেল রানাকে হাতুড়িপেটার অভিযোগও অস্বীকার করেছে রাজশাহী নগর ছাত্রদল।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বেলা ১১টায় নগরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানান নগর ছাত্রদলের সভাপতি আকবর আলী জ্যাকি।
সংবাদ সম্মেলনে আকবর আলী জ্যাকি বলেন, এখন কেউ কেউ ভুয়া সমন্বয়ক সেজে নিজের স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করছেন। গত ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে জাসদ ছাত্রলীগ নেতা সোহেল রানা নিজেকে সমন্বয়ক হিসেবে দাবি করে রাজশাহী কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিতর্কিত কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন। নিজেকে সমন্বয়ক হিসেবে দাবি করলেও স্পষ্টত তিনি জাসদ ছাত্রলীগের সক্রিয় নেতা ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে রাজশাহীতে নিজেদের মধ্যে দুইটি গ্রুপ বিরোধে জড়ায়। একপর্যায়ে তারা নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সেই ঘটনায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির লক্ষ্যে চিহ্নিত জাসদ ছাত্রলীগ নেতা সোহেল রাজশাহী কলেজ ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন কুৎসা রটনা করেন, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়। অথচ ছাত্রদলের কোনো নেতাকর্মী এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত না। ছাত্রদলের সুনাম ও ঐতিহ্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে এমন ঘৃণ্য ও ন্যাক্কারজনক ঘটনায় ছাত্রদলের নাম জড়ানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- নগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাকসুদুর রহমান সৌরভ, ছাত্রদল নেতা সুলতান আহমেদ রাহি, আদিউল ইসলাম সজিব, মাহমুদুল হাসান লিমন, রাজশাহী কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক খালিদ বিন ওয়ালিদ আবির, সদস্য সচিব আহমেদ রায়হান প্রমুখ।
বিষয়টি নিয়ে জানতে সোহেল রানাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এ কারণে এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরের কালেক্টরেট মাঠ ও মাদ্রাসা মাঠ এলাকায় সোহেল রানার ওপর দুই দফা হামলা হয়। এ সময় তাকে বাঁশ ও হাতুড়ি দিয়ে পেটানো হয়। পরে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে সোহেল রানা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, রাজশাহী কলেজ ছাত্রদলের জয়, রুহুল আমিনসহ অন্তত ২০-২৫ জন দুই দফায় তাকে পিটিয়েছেন।
শাহিনুল আশিক/এফআরএস