নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জনকে আদালতের ভর্ৎসনা
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় প্রতিবেদন না দেওয়াসহ আদালতের নির্দেশনা যথাসময়ে পালন না করায় নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. এ এফ এম মুশিউর রহমানকে ভর্ৎসনা করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. মোমিনুল ইসলামের আদালতে মামলার শুনানির সময়ে এই ঘটনা ঘটে। তবে সিভিল সার্জন মুশিউর রহমান বলেন, আমি আমার অবস্থান থেকে বিষয়টি আদালতে স্পষ্ট করেছি।
এদিন নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের বিরুদ্ধে শেষ সাক্ষী ছিলেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাজিব মন্ডল বলেন, সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তৈরিতে যে ডাক্তার ছিলেন তিনি মারা গেছেন—এটা আদালত জানতে পেরেছেন। এ বিষয়ে একটা প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সিভিল সার্জনকে বলা হয়েছিল। পরবর্তীতে লিখিতভাবে সিভিল সার্জনকে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য চিঠি ইস্যু করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি চিঠির জবাব দেননি।
তিনি আরও বলেন, চিঠির জবাব না দেওয়ার প্রেক্ষিতে সিভিল সার্জনকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। সেই নোটিশের প্রেক্ষিতে সিভিল সার্জন আদালতে উপস্থিত হলে তাকে ভর্ৎসনা করে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। কেন সময় মতো প্রতিবেদন দেননি, আদালতের নির্দেশনাকে কেন অবহেলা করা হয়—এসব বিষয় জানতে চাওয়া হয়।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট খন্দকার আজিজুল হক হান্টু বলেন, সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় একটা প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সিভিল সার্জনকে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি চিঠির তিনি জবাব দেননি। ফলে সিভিল সার্জনকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। সেই নোটিশের প্রেক্ষিতে সিভিল সার্জন আদালতে উপস্থিত হলে তাকে ভর্ৎসনা করে ক্ষমা করে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. এএফএম মুশিউর রহমান বলেন, বিষয়টি সঠিক নয়। যে এই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট করেছিলেন ওই ডাক্তার মারা গিয়েছেন। তাকে আর পরবর্তীতে কীভাবে খুঁজে পাবো? এটা তো আমার কাজ না। আর এটা ২০০৩ সালের মামলা। ওই ডাক্তার তখন ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের আরএমও ছিলেন। ওই ডাক্তারের নামটা হয়তো শাহজাহান হবে। এখন তিনি যদি বেঁচে না থাকেন তাহলে আমি তাকে কীভাবে আদালতে হাজির করবো? আজ আদালত জানতে চাইলে আমি এই জবাবই দিয়েছি।
মেহেদী হাসান সৈকত/এএমকে