বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী বিশ্ববাসীর আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে
যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কুমিল্লা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে কুমিল্লা সেনানিবাসের মসজিদে দেশের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি এবং সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে দিবসটি শুরু হয়।
এরপর বিকেলে এমআর চৌধুরী প্রাঙ্গণে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সেনাবাহিনীর বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যদের সম্মানে সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানে ৮৪৭ জন মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পরে কেক কেটে দিবসটি পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে আগত মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল গণ্যমান্য অতিথিদেরকে অভ্যর্থনা জানান প্রধান অতিথি জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি), ৩৩ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার, কুমিল্লা এরিয়া মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ তারিক।
প্রধান অতিথি উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে স্বাগত ভাষণে কুমিল্লা অঞ্চলের মানুষের অসীম সাহসিকতা, সহযোগিতা এবং বীরত্বপূর্ণ অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি কুমিল্লা অঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান এবং আগত সকল মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধান অতিথি বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী দেশের প্রতিটি ক্রান্তিলগ্নে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।
একইসঙ্গে জাতীয় পর্যায়ে যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলা, পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাস দমন, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা এবং বিভিন্ন দেশ গঠনমূলক কর্মকাণ্ডে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে তিনি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার বিষয়ে আলোকপাত করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী বিশ্ববাসীর আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য ড. মুহাম্মদ ইসমাইল, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, সশস্ত্র বাহিনীর প্রাক্তন সদস্যগণ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের গতিকে ত্বরান্বিত করতে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সম্মিলিত আক্রমণ সূচিত হয়। এর ফলে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ- বাংলাদেশ। প্রতিবছর ২১ নভেম্বর যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত হয়ে আসছে।
হাসিব আল আমিন/এমজেইউ