মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়ায় বিএনপি নেতা বহিষ্কার
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়ায় উপজেলা বিএনপির সদস্য জামাল উদ্দিন গাজীকে সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় বিএনপির দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে নাম পদবি উল্লেখ করে বলা হয়, দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে আপনি মোটরসাইকেল বহর নিয়ে বিশাল শোভাযাত্রা করেছেন-যা দলের শৃঙ্খলার প্রতি চরম অবমাননা। সুতরাং শৃঙ্খলা অবমাননার দায়ে আপনাকে সূবর্ণচর উপজেলা বিএনপির সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
চিঠির কপি বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ হারুন ও মীর হেলাল উদ্দিন এবং নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকে অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বহিষ্কারাদেশ ঘিরে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ বলছেন ষড়যন্ত্র আবার কেউ বলছেন সঠিক সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সূবর্ণচর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এবিএম জাকারিয়া ঢাকা পোস্টকে চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুধু বহর নিয়ে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নয়, তার বিরুদ্ধে ৫ আগস্টের পর হামলা চালিয়ে মাছের ঘের-ঘাট দখলসহ চাঁদাবাজিরও অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সদস্য জামাল উদ্দিন গাজী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ফেসবুকে দেখেছি আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজকে শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে আমাদের প্রোগ্রাম ছিল। আমি সাত কিলোমিটার পথ হেঁটে সমাবেশস্থলে গিয়েছি অথচ আমাকে বলা হলো আমি মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করেছি। ১৯৮৮ সালে স্কুল ছাত্রদলের সভাপতি হয়েছি। তারপর ১৯৯৬ সালে যুবদলের সভাপতি হয়েছি। তারপর ২০১৩ সালে উপজেলা কৃষক দলে যুক্ত হয়ে ২০১৪ সালে কৃষক দলের সভাপতি হয়েছি। ২০১৭ সালে থেকে জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। ২০২৩ সালে সুবর্ণচর উপজেলা বিএনপির সদস্য হিসেবে আছি। আমি দলের এমন সিদ্ধান্তে মর্মাহত হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, দলের ঊর্ধ্বতনের নির্দেশনাকে আমি সম্মান করি। কিন্তু এখানে ষড়যন্ত্র হয়েছে। স্পষ্ট একটা পক্ষ আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। আমি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানের কর্মী। আমাকে বহিষ্কার করুক আর যাই করুক আমি শহীদ জিয়ার আদর্শের পতাকাতলে থাকব।
নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বহিষ্কারের বিষয়টি আমি শুনেছি। এখনো কোনো কপি আমরা হাতে পাইনি। তবে আমি মনে করি এটি একটি ভুল বোঝাবুঝি। আমরা দলের হাই কমান্ডের সঙ্গে আলোচনা করে এ ব্যাপারে পরে জানাব।
হাসিব আল আমিন/আরকে