বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ
বরগুনার তালতলী উপজেলায় চাঁদা না পেয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহিদুল হকের বিরুদ্ধে। একই উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মো. সোহাগ খান এ অভিযোগ করেন।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ভুক্তভোগী সোহাগ খান এ অভিযোগ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে সোহাগ খান বলেন, আমার বাবা মো. হারুন খান তালতলী উপজেলার কবিরাজ পাড়া নামক বাজারে একটি খাবার হোটেলের ব্যবসা করেন। তালতলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহিদুল হক তার শ্বশুর মো. মাসুদ প্যাদার মাধ্যমে আমার বাবার কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ টাকা দিতে অস্বীকার জানালে গত ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় শহিদুল হক ও তার ছেলে শাহরিয়ার নাঈম, ভাই জাহিদুল হক সোহাগ, ছোট ভাই ছোট্ট, মাসুদ প্যাদা, আলমঙ্গীর মীরাসহ আরও ২০ থেকে ২৫ জন মিলে আমার বাবার খাবারের দোকানে হামলা চালিয়ে বেধরক মারধর করেন। এ ছাড়াও দোকানে থাকা বিভিন্ন মালামাল তারা লুটপাট করে নিয়া যায়।
সোহাগ খান আরও বলেন, আমার বাবাকে মারধরের হাত থেকে রক্ষা করতে আমার মা বাধা দিলে তাকেও মারধর করা হয়। এ ছাড়া খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে আমাকে ও আমার সঙ্গে থাকা ফারুক মোল্লা ও আব্দুল হক নামের আরও দুজনকে মারধর করেন অভিযুক্তরা। পরে এ ঘটনায় আহত অবস্থায় আমার মা ও বাবাকে উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করে তালতলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহিদুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার শাশুড়ি কবিরজ পাড়ার পুরুষ ওয়ার্ডের একজন ইউপি সদস্য। গতকাল রোববার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সোহাগ, হারুন মোল্লা এবং ফারুক মোল্লাসহ আরও কয়েকজন মিলে আমার শ্বশুর ও শাশুড়িকে বাজারের মধ্যে সবার সামনে রড দিয়ে হামলা চালান। পরে খবর পেয়ে তালতলী থানা পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে জানাই। এ ছাড়া আমি ঘটনাস্থলে গেলে সেখানে উপস্থিত জনতা তাদেরকে প্রতিরোধ করতে ব্যবস্থা নিতে চইলে পুলিশ তা নিয়ন্ত্রণ করে। আমরা তাদেরকে কিছুই করিনি।
শহিদুল হক আরও বলেন, তারা যে হামলা করেছেন তা ধামাচাপা দিতেই উলটো আমাদের ওপর চাঁদা দাবি ও হামলার অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও আমাকে হেয় করতে তালতলীতে একটা গ্রুপ সক্রিয় হয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। আমাদের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
এ বিষয়ে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুই গ্রুপের মধ্যে একটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় থানায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ জানায়নি।
মো. আব্দুল আলীম/এএমকে