চলমান ষড়যন্ত্রের একমাত্র সমাধান জাতীয় নির্বাচন : হেলাল
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, চলমান ষড়যন্ত্রের একমাত্র সমাধান জাতীয় নির্বাচন, সংস্কার নয়। দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে অচিরেই নির্বাচন দরকার।
রোববার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে খুলনা রুপসা উপজেলা বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে তারেক রহমানের ৩১ দফার আলোকে সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে সম্প্রীতির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হেলাল বলেন, বিগত ১৬ বছর নিজেদের লোকজনকে লুটপাটের গণতন্ত্র দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে জনগণের গণতন্ত্র হরণ করেছিল তারা। এই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ হাসিনামুক্ত হয়েছে, কিন্তু ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি। ফ্যাসিবাদের দোসরদের খুঁটি অনেক গভীর ও শক্তিশালী। তালিকা করে সমূলে উৎখাত করতে না পারলে ছাত্র-জনতার বিপ্লব ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচার ফ্যাসিস্টদের প্রেতাত্মারা এখনও সমাজে ও রাষ্ট্রের গভীরে অবস্থান করছে। গত ১৬ বছরে পতিত ফ্যাসিবাদী সরকার, মাফিয়া সরকার সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, লুটপাট করেছে। বিএনপি এসবে বিশ্বাস করে না। তিনি প্রশাসনের উদ্দেশে বলেন, যারা চাঁদাবাজি করে-সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে তারা বিএনপির কেউ হতে পারে না। যারা সমাজে বিশৃঙ্খলা করবে তাদের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিগত ১৭ বছর দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি, ভোট দিয়ে নেতা নির্বাচন করতে পারেনি। ভোটের সংস্কৃতিকে যাদুঘরে পাঠিয়ে দিয়েছিল পতিত মাফিয়া সরকার। ১৭ বছর বিনা ভোটের নির্বাচন, রাতের নির্বাচন, আমি-ডামির নির্বাচন, বিভিন্নভাবে ভোটের ব্যবস্থা কলুষিত করে বাংলাদেশে ভোটের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে হাসিনা সরকার। বাংলাদেশের মানুষ ভোট কী, তা ভুলে গেছে।
তিনি বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি রাজপথে ছিল। বিএনপির আন্দোলনের একপর্যায়ে যুক্ত হয়েছিল ছাত্র-জনতা। আর ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে খুনি হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। আমাদের আন্দোলনের ফসল অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার, আমাদের প্রাণের সরকার। যে সরকারকে আমরা রক্ত দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছি। বিএনপির আন্দোলনের ফসল ড. ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হলে আমার প্রতিহত করবো। আমরা হামলা-মামলার শিকার হয়ে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করেছি। সুতরাং এই সরকারের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র হলে তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা তা প্রতিহত করবো। জনগণের ১৭ বছরের দাবি ভোট দিয়ে নেতা নির্বাচিত করা। কিন্তু অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে আসে কিছু ষড়যন্ত্রকারী, আবারও আমাদের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে।
প্রধান বক্তার বক্তৃতা করেন খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. শফিকুল আলম মনা।
রূপসা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোল্লা সাইফুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে মহানগর বিএনপি সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, বিএনপি নেতা আবু হোসেন বাবু, খান জুলফিকার আলী জুলু, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, এনামুল হক সজলসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
মোহাম্মদ মিলন/এএমকে