বিস্ফোরক মামলায় সিলেট যুবলীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার
সিলেটে বিস্ফোরক মামলার আসামি যুবলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ১টার দিকে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব-৯-এর একটি দল।
গ্রেপ্তারকৃত দুই নেতা হলেন—সিলেট মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন ইমু (৩০) এবং মহানগর যুবলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ও ১৩নং ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি, সুনামগঞ্জের রুপম আহমেদ (৩৮)।
ইমু আম্বরখানা শুভেচ্ছা ১১ আসার মো. আইয়ুবের ছেলে এবং রুপম সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ শত্রুমর্দন গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে।
র্যাব-৯ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুই যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় গত ১০ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানায় বিস্ফোরক ও হত্যাচেষ্টা মামলা (নং-১৯ (৯)’২৪) এবং ৩৪(৮)’২৪) রয়েছে। এসব মামলায় পলাতক ছিলেন তারা। গ্রেপ্তারকৃতদের সিলেট কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৬ জুন ভোরে ১৪ ট্রাক ভারতীয় চিনির চালান জব্দ করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)। জব্দ করা চিনির আনুমানিক বাজার মূল্য ছিল ২ কোটি টাকা। উমাইরগাঁওয়ে অস্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে পুলিশ এই চিনি জব্দ করে। এ সময় একটি মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারও জব্দ করে পুলিশ। ঘটনার দিন ১৪ ট্রাক চিনিসহ প্রাইভেটকারটির সঙ্গে সিলেট মহানগর যুবলীগ সভাপতি আলম খান মুক্তি গ্রুপের ক্যাডার হিসেবে রুপমের নাম উঠে আসে।
মাসুদ আহমদ রনি/এএমকে