‘জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে আন্দোলন চলবে’
‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছিল শুধু কোটা বিরোধী আন্দোলন। ফ্যাসিবাদের ভয়াল থাবায় যখন ছাত্রদের আন্দোলন প্রায় থমকে গিয়েছিল ঠিক সেই মুহূর্তেই জাতির কান্ডারির ভূমিকায় আন্দোলনকে ছাত্র জনতার আন্দোলনে রূপ দিয়েছিলেন তারেক রহমান। দেশের মানুষ ফ্যাসিস্ট সরকার থেকে মুক্তি চেয়েছিল,অবাধ,সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের রক্তে ভেজা বিপ্লবকে সফল বলা যাবে না।’
বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে সোনালী ব্যাংকের সামনের সড়কে বান্দরবান জেলা বিএনপির আয়োজনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জেলা বিএনপির আয়োজিত জনসমাবেশে এসব কথা বলেন বিএনপির নেতারা।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম বলেন গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের মাধ্যমে আমাদের প্রথম ধাপের বিজয় হয়েছে। তবে পরিপূর্ণ বিজয় না আসা পর্যন্ত নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত ভাবে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।
এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল বলেন, দেশের ক্রান্তিলগ্নে দেশের মানুষের পাশে দাড়ান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।
এসময় তিনি বলেন, রাষ্ট্রের ভালোমন্দ রাজনীতিবিদরাই ভালো জানেন। অন্তবর্তী সরকারের কাছে অনুরোধ সময় ক্ষেপণ না করে নির্বাচনের পথ তৈরি করা। গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান শুধু রাজনীতিবিদদের জন্য ইতিহাস নয়, সকলের জন্য শিক্ষা।
সমাবেশে বিএনপি নেতাকর্মীরা বলেন, ১৬ বছর পর এসে বান্দরবানে বিএনপি স্বতস্ফুর্তভাবে কর্মসূচি করতে পারছে। ১৬ বছরে স্বৈরাচার অবৈধ আওয়ামী লীগের নেতারা অনবরত বাধা দিয়েছে,বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। এসময় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ক্ষমতার অপব্যবহার আওয়ামী লীগ নেতাদের অবৈধ দৃশ্যমান সম্পদের হিসাব নিতে দুদকের তদন্ত করার আহ্বান জানান তারা।
বান্দরবান জেলা বিএনপির সভাপতি মাম্যাচিং এর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জাবেদ রেজা, সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন, বিএনপি নেতা সাহাদাত হোসেন জনি, রিটল বিশ্বাস, সেলিম রেজা, জেলা যুবদলের সভাপতি জহির উদ্দিন মাসুম সহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এদিকে জনসমাবেশের আগে জেলার সাতটি উপজেলা, তেত্রিশটি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভা থেকে জেলা বিএনপিসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা খন্ডখন্ড মিছিল নিয়ে জেলার রাজারমাঠে জড়ো হতে থাকেন। পরে রাজার মাঠ হতে থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জাবেদ রেজার নেতৃত্বে বিশাল র্যালী শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে জনসমাবেশস্থলে এসে শেষ হয়।
শহীদুল ইসলাম/আরকে