বেশি দামে আলুর বীজ-সার বিক্রি, জরিমানা ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় বেশি দামে আলুর বীজ ও সার বিক্রির অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে পাঁচ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। একইসঙ্গে জব্দ করা আলুর বীজ নির্ধারিত দামে কৃষকদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) উম্মে তাবাসুম ও উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার জিন্নাতুন আরা পৃথক স্থানে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় উপজেলা কৃষি অফিসার জাহিদুর রহমান, জয়পুরহাট জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিবুল হক সানজিদ, ছাত্র প্রতিনিধি শাহিনুর ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ক্ষেতলাল পৌরশহরের ইটাখোলা বাজারের মেসার্স মন্ডল ট্রেডার্স ও আলিফ বীজ ভান্ডার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে কৃষকদের কাছে আলুর বীজ বিক্রি করছিল। খবর পেয়ে ইউএনও উম্মে তাবাসুম ওই দুই দোকানে যান। তিনি ঘটনার সত্যতা পেয়ে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে মেসার্স মন্ডল ট্রেডার্সের মালিকের ৫০ হাজার জরিমানা ও আনুমানিক ১৭৫ বস্তা আলুর বীজ জব্দ করা হয়। ইউএনওর উপস্থিতিতে তাৎক্ষণিকভাবে ওই দুই ব্যবসায়ীর জব্দ করা আলুর বীজ প্রকাশ্যে নির্ধারিত মূল্যে কৃষকদের কাছে বিক্রি করা হয়। একই বাজারের আলিফ বীজ ভান্ডার মালিকের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া মাটির ঘর এলাকায় ১১৫ বস্তা আলুর বীজ জব্দ করে কৃষকদের কাছে নির্ধারিত দরে বিক্রি করা হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিন্নাতুল আরা তিনটি পৃথক স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। আলুর বীজ লুকিয়ে রেখে কৃত্রিম সংকটের অপরাধে উপজেলার শালবন গ্রামের শাহিনুর ইসলামের ১০ হাজার টাকা, চৌমুনি বাজারের মেসার্স কৃষি ট্রেডার্সে মূল্য তালিকা না থাকায় ব্যবস্থাপক আলমের ৫ হাজার টাকা ও ভাসিলা বাজারের সার ব্যবসায়ী আব্দুর রউফকে নিজ বাড়িতে সার রেখে উচ্চমূল্যে বিক্রির অপরাধে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ক্ষেতলালের ইউএনও উম্মে তাবাসুম বলেন, দুইস্থান থেকে আনুমানিক ২৯০ বস্তা আলু জব্দ করে তাৎক্ষণিক নির্ধারিত মূল্যে উপস্থিত কৃষকদের কাছে বিক্রয় করা হয়েছে। আর ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে মোট এক লাখ ৩৫ টাকা টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নির্ধারিত দরের চেয়ে বেশি দামে আলুর বীজ বিক্রি করছেন। নিয়মিত বাজার তদারকি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
চম্পক কুমার/জেডএস