বিনামূল্যে সার-বীজ পেলেন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৮৬৫৫ কৃষক
লক্ষ্মীপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক পর্যায়ের ৮ হাজার ৬৫৫ জন কৃষককে বিনামূল্যে সারসহ শীতকালীন সবজির বীজ বিতরণ করা হয়েছে। এতে সরিষা, মসুর ডাল, ফেলন ডাল, লালশাক, পালংশাক, বাঁধাকপি, লাউ, বেগুন, কলমি শাক, টমেটো, বেগুন ও মিষ্টি কুমড়া বীজ রয়েছে। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। বন্যা-পরবর্তীতে শাক-সবজির বীজ ও সার পেয়ে খুশি কৃষকরা।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রবি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কৃষকদেরকে বীজ ও সার দেওয়া হয়। জেলা ও সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এ আয়োজন করা হয়।
জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকার প্রধান অতিথি হিসেবে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সোহেল মো. শামসুদ্দিন ফিরোজের সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. হাসান ইমামের সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জেপি দেওয়ান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অ. দা.) অভি দাশ প্রমুখ।
কৃষি অফিস জানায়, সাম্প্রতিক বন্যায় লক্ষ্মীপুরে ক্ষতিগ্রস্ত ২০ হাজার কৃষকের মাঝে রবি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় শাক-সবজি ও রবিশস্যের বীজ বিতরণের বরাদ্দ দেয় কৃষি বিভাগ। এর মধ্যে সদর উপজেলার ২১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৮ হাজার ৬৫৫ জন কৃষককে সার ও বীজ দেওয়া হয়েছে। এ কার্যক্রম সপ্তাহব্যাপী চলবে।
লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সোহেল মো. শামসুদ্দিন ফিরোজ বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ২০ হাজার কৃষককে রবি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। তাদেরকে বিনামূল্যে সার-বীজ ও নগদ অর্থ দেওয়া হবে। উদ্বোধনী দিনে ৮ হাজার ৬৫৫ জনকে সার-বীজ দেওয়া হয়েছে। বিকাশের মাধ্যমে কৃষকদেরকে টাকা পাঠানোর কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত আগস্টের বন্যা এবং পরবর্তীতে দীর্ঘদিন জলাবদ্ধতায় লক্ষ্মীপুরে ধান, শাক-সবজিসহ কৃষিতে প্রায় ২২৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
হাসান মাহমুদ শাকিল/এএমকে