হাজীগঞ্জে জব্দ করা সেই সরকারি চাল উন্মুক্ত নিলামে বিক্রি
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ১০ নম্বর গর্ন্ধব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পৃথক দুইটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা সরকারি জিআর প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ৮৩ বস্তা চাল নিলামে বিক্রি করেছে প্রশাসন।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সম্মুখে উক্ত নিলামে অংশ নেন ১২ ব্যবসায়ী। এতে সর্বোচ্চ দরদাতাকে চালগুলো বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাপস শীল জানান, কেজি প্রতি ৩১ টাকা ধরে চালগুলো প্রকাশ্যে নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। এতে সরকারি কোষাগারে ৭৪ হাজার টাকা জমা হয়। এ চাল ইউনিয়ন পরিষদে জিআর প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ছিল।
এর আগে, গত ২৪ জুন রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সরকারি চাল বসতবাড়িতে মজুদ করার খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নির্দেশনায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত জাহান, হাজীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিন্টু কুমার দত্ত মিঠু ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে গর্ন্ধব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের দেশগাঁও মাইজের বাড়ি ও আটিয়া বাড়িতে অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে ওই বাড়ির মমিনের বসতঘর থেকে সরকারি ২২ বস্তা চাল, চালের ৮টি খালি বস্তা ও জাহাঙ্গীর আলমের বসতঘর থেকে সরকারি ৬১ বস্তাসহ মোট ৮৩ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করা হয়। এর মধ্যে প্রতিটি বস্তায় ৩০ কেজি করে মোট ২ হাজার ৮৬০ কেজি চাল ছিল। সে সময় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করা হয়। তাদের সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় পরে তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।
চাল জব্দের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন বাচ্চু, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার (ইউপি সদস্য) আমির মুন্সী, দেশগাঁও গ্রামের পূর্ব আটিয়া বাড়ির মৃত সুজ্জত আলীর ছেলে আবুল খায়ের কালু ও একই গ্রামের মাইজের বাড়ির মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের নামে ও অজ্ঞাত ১-২ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করা হয়। ওই মামলাটি তদন্ত কাজ করছেন দুদক চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়। পরবর্তীতে গত ২৪ অক্টোবর চাঁদপুর দায়রা জজ আদালতের নির্দেশনায় (স্মারক নং- ৬৭৫৫) জব্দ করা ৮৩ বস্তা চাল মঙ্গলবার নিলামে বিক্রি করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয়।
আনোয়ারুল হক/এফআরএস