কলেজছাত্রকে অপহরণ, বাবা-মেয়ে গ্রেপ্তার
শেরপুরে কলেজছাত্র সুমন মিয়াকে (১৭) অপহরণের অভিযোগে বাবা-মেয়েকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (১০ নভেম্বর) দিবাগত রাতে শহরের বাগরাকসা কাজীবাড়ী পুকুরপাড় এলাকা থেকে শিক্ষক মো. আজিম উদ্দিন ও তার মেয়ে আন্নি আক্তারকে (১৯) গ্রেপ্তার করা হয়। তবে অপহরণের সাত দিন পরও সন্ধান পাওয়া যায়নি সুমনের।
সুমন শহরের কসবা বারাকপাড়া (নিমতলা) এলাকার কৃষক মো. নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি শেরপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।
এর আগে রোববার দিবাগত রাতে সুমনের বাবা নজরুল ইসলামের দায়ের করা অভিযোগটি সদর থানায় মামলা (এফআইআর) হিসেবে রেকর্ড করা হয়। মামলায় গ্রেপ্তার বাবা-মেয়েসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সুমন মিয়া ও আন্নি আক্তার শেরপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণিতে একইসঙ্গে পড়াশোনা করেন। সেই সুবাদে আন্নি আক্তার সম্প্রতি সুমনকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। কিন্তু সুমন তাতে রাজি না হওয়ায় আন্নি ক্ষুব্ধ হন। গত ৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় সুমন মিয়া কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে শহরের বাগরাকসা কাজীবাড়ি পুকুরপাড় এলাকায় আন্নির উপস্থিতিতে আরও দুই-তিনজন যুবক জোরপূর্বক সুমনকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যান।
এ ঘটনায় সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন সুমনের বাবা। গত কয়েকদিনেও সুমনের সন্ধান না পেয়ে তার মা-বাবা, এলাকাবাসী ও সুমনের কয়েকজন সহপাঠী রোববার দুপুরে পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং সুমনকে উদ্ধারসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সুমন ও আন্নির মাঝে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এর মধ্যে আন্নির অন্য জায়গায় বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয় তার পরিবার। এ নিয়েই অঘটন ঘটে থাকতে পারে বলে অনেকের ধারণা।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জুবায়দুল আলম বলেন, পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার বাবা-মেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপহৃত কলেজছাত্র সুমন মিয়াকে উদ্ধারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, পুরো ঘটনাটি পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখছে। মুঠোফোন ট্র্যাকিং করে সুমনের সর্বশেষ অবস্থান ময়মনসিংহে ছিল বলে জানা যায়। তবে বর্তমানে তার ফোনটি বন্ধ রয়েছে। তাকে উদ্ধারে পুলিশ চেষ্টা করছে।
মো. নাইমুর রহমান তালুকদার/এএমকে