৬০ ঘণ্টা পর আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু
যমুনা নদীতে নাব্য সংকটেরর কারণে আরিচ-কাজিরহাট নৌপথে দীর্ঘ ৬০ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফেরি চলাচল শুরু করেছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়। তবে দীর্ঘ সময় নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় উভয় ফেরিঘাট এলাকায় তিন শতাধিকের বেশি পণ্যবাহী ট্রাক নৌপথ পারাপারে অপেক্ষমাণ রয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে নাব্য সংকটের কারণে নৌপথে দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। এতে দুর্ভোগে পড়েন মানিকগঞ্জের আরিচা ঘাট ও পাবনার কাজিরহাট প্রান্তে আটকা পড়া তিন শতাধিক পণবাহী ট্রাকের চালক ও সহযোগী শ্রমিকসহ যাত্রীরা।
দুপুর ২টার দিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ে আরিচা ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আটকেপড়া ট্রাক চালক আব্দুর রহিম বলেন, দীর্ঘ সময় আরিচা ঘাটে নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছি। ফেরিতে নদী পারাপার আরামদায়ক ও সহজে যাতয়াত করা যায় বলে আমরা এই নৌপথটি ব্যবহার করি। কিন্তু ফেরি চলাচল এখন মাঝে মধ্যেই বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়তে হয়। আজকে দুপুরে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে, আশা করছি সন্ধ্যার মধ্যে নদী পার হতে পারব।
ট্রাকচালক জসিম মিয়া বলেন, প্রতিবছর এই সময়ে নদীতে নাব্য সংকট দেখা দেয়। কর্তৃপক্ষ যদি আগে থেকে নদীর নাব্য ঠিক রাখতে কাজ করে তাহলে আমাগো ভোগান্তি হতো না।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা ঘাটের ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ বলেন, যমুনা নদীর পানি কমে যাওয়ায় গত তিন মাস ধরেই আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। মাঝে মধ্যে আরিচা ঘাটের অদূরে ডুবোচরে ফেরি আটকে যাচ্ছে। যার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতেই গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
তিনি বলেন, নৌপথের নাব্য স্বাভাবিক করতে বিআইডব্লিউটিএ নৌ চ্যানেলে ড্রেজিং কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। নৌপথের চ্যানেল স্বাভাবিক হওয়ায় আজকে দুপুর ১২টার দিকে আমরা ফেরি চলাচল শুরু করেছি। এই নৌপথে ৫টি ফেরি চলাচল করছে। দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় উভয় ঘাট এলাকায় তিন শতাধিকের বেশি আটকে পড়া পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার করা হচ্ছে।
এর আগে নাব্য সংকটের কারণে ১ নভেম্বর রাত ১০টা থেকে ৩৭ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। পরে নৌপথে বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং করার ফলে কিছুটা নাব্য স্বাভাবিক হওয়ায় ফেরি চলাচল শুরু করা হয়।
সোহেল হোসেন/আরএআর