আন্দোলনে নিহত ৪ হত্যা মামলার তদন্তভার সিআইডিতে
রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহতের ঘটনায় দায়ের করা চারটি হত্যা মামলার তদন্ত করার দায়িত্ব সিআইডি পুলিশের কাছে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ হেড কোয়াটারের এক নির্দেশে এ আদেশ দেওয়া হয়।
রোববার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মহানগর কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই রংপুর মহানগরীর সিটি বাজার এলাকায় ছাত্র-জনতার সঙ্গে সরকারদলীয় নেতাকর্মী ও পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়।
এরা হলেন—শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল তাহির, ফল ব্যবসায়ী মেরাজুল ইসলাম, সবজি বিক্রেতা সাজ্জাদ হোসেন ও স্বর্ণ শ্রমিক মোসলেম উদ্দিন।
নিহতের স্বজনরা বাদী হয়ে আদালতে পৃথক চারটি হত্যা মামলা করলে বিচারক মামলাগুলো এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার আদেশ দেন। আদালতের নির্দেশের পর রংপুর মহানগর কোতোয়ালি থানায় চারটি হত্যা মামলা রেকর্ড করা হয়। মামলাগুলো পুলিশ তদন্ত করছিল।
ইতোমধ্যে রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডলকে র্যাব ঢাকার সাভার থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশ এই চার হত্যা মামলাতেই আওয়ামী লীগ নেতা তুষার কান্তি মন্ডলকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে দুই দফা রিমান্ডে নেয়। এ ছাড়াও আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে চারটি হত্যা মামলাই তদন্ত করার জন্য রংপুর সিআইডি পুলিশকে নির্দেশ দেয়। পুলিশ হেড কোয়াটারের অ্যাডিশনাল ডিআইজি রেবেকা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই নির্দেশ দেওয়া হয় বলে জানানো হয়েছে। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে চারটি হত্যা মামলার সব নথিপত্র সিআইডি পুলিশের কাছে হস্তান্তরিত করা হবে বলে রংপুর মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানা সূত্রে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে রোববার সন্ধ্যায় রংপুর মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে চারটি হত্যা মামলা সিআইডি তদন্ত করবে, এমনটাই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এএমকে