চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন আলোচিত জিরুনা ত্রিপুরা
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের দ্বায়িত্ব গ্রহণ করেছেন জিরুনা ত্রিপুরাসহ নবনিযুক্ত খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্যরা।
রোববার (১০ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে জেলা পরিষদের হলরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের কাছে দ্বায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ সময় জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চৌধুরীসহ জেলা পরিষদের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ৭ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তাসলিমা বেগম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে জিরুনা ত্রিপুরাকে চেয়ারম্যান করে ১৫ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ গঠন করা হয়।
পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা হলেন, বঙ্গমিত্র চাকমা, অনিময় চাকমা, নিটোল মনি চাকমা, কংজপ্রু মারমা, কুমার সুইচিংপ্রু সাইন, সাথোয়াই প্রু চৌধুরী, ধনেশ্বর ত্রিপুরা, শেফালিকা ত্রিপুরা, প্রশান্ত কুমার ত্রিপুরা, মো. শহিদুল ইসলাম, প্রফেসর আব্দুল লতিফ, মো. মাহবুবুল আলম, জয়া ত্রিপুরা এবং অ্যাডভোকেট মনজিলা সুলতানা।
প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে জেলাজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসেন নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা। জেলায় তেমন আলোচনায় না থাকলেও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের ঘনিষ্ঠ ছিলেন জিরুনা ত্রিপুরা। একাদশ সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন তিনি।
আওয়ামী ঘনিষ্ঠ জিরুনা ত্রিপুরা যামিনীপাড়া বর্ডার গার্ড উচ্চ বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ৫ আগস্ট দেশের পট পরিবর্তনের পর তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকেই এ নিয়ে সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব ছিলেন স্থানীয় সচেতন মহলের নাগরিকরা। আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের অভিযোগ তুলেছেন অনেকেই।
মোহাম্মদ শাহজাহান/এএমকে