পানছড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ইউপিডিএফ সদস্য নিহত
খাগড়াছড়ির পানছড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (প্রসিত গ্রুপ) মিটন চাকমা নামে এক সদস্য নিহত হয়েছেন।
রোববার (১০ নভেম্বর) উপজেলার দুর্গম লোগাং ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
ইউপিডিএফের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে নিহতের বিষয়ে এখনো জানে না পুলিশ।
নিহত মিটন চাকমা ইউপিডিএফের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। এর আগে ছাত্র সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ছিলেন তিনি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরণ চাকমা।
ইউপিডিএফের খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, দুপুরের পর পানছড়িতে একটি সশস্ত্র দল ইউপিডিএফ সদস্যদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায়। এতে ইউপিডিএফ সংগঠক মিটন চাকমা নিহত হন। হত্যার ঘটনায় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করে ইউপিডিএফ।
মিটন চাকমা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে ২০২২ সালের নভেম্বরে ইউপিডিএফে যোগ দেন। তিনি জেলার দীঘিনালার উদোলবাগান গ্রামের সুশান্ত চাকমার ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রোববার ভোর থেকে লোগাং ইউনিয়নের অন্তত তিনটি স্থানে দুই আঞ্চলিক সংগঠনের মধ্যে গুলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। গত কিছুদিন থেকেই এ এলাকার আধিপত্য নিয়ে ইউপিডিএফের (প্রসিত) সঙ্গে জনসংহতি সমিতি (সন্তু লারমা) গ্রুপের বেশ কয়েকটি যুদ্ধ হয়েছে। আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠনগুলো একে ধর্মযুদ্ধ নামে অবহিত করছে।
পানছড়ি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দিন বলেন, এখনো পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের কোনো তথ্য পাইনি।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৩০ অক্টোবর পানছড়ির লতিবান ইউনিয়নে গুলিতে তিন ইউপিডিএফ কর্মী নিহত হন।
মোহাম্মদ শাহজাহান/এএমকে