কুষ্টিয়ায় আ.লীগ নেতার নেতৃত্বে হামলায় কৃষক নিহত, আহত ১৩
কুষ্টিয়ার মিরপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ, সামাজিক দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তৌহিদুল ইসলাম (৪০) নামের এক কৃষককে গুলি করে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। রোববার (১০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বহালবাড়িয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নওদা খাদিমপুর সর্দার পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তৌহিদুল ইসলাম মিরপুর উপজেলার বহালবাড়িয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নওদা খাদিমপুর সর্দার পাড়া এলাকার মৃত মুজাহার আলী সর্দারের ছেলে। মিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় নিহতের পক্ষের ১৩ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- জাহাঙ্গীর সর্দার, আনিসুল সর্দার, রুবেল সর্দার, আলামিন সর্দার, হাফিজ সর্দার, জুয়েল সর্দার, রিজভীসহ ১৩ জন। তারা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গাইন ও সর্দার বংশের মধ্যে দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নিহত ও আহতরা নিজ নিজ বাড়িতে কাজকর্ম নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় প্রতিপক্ষ গাইন গ্রুপের কমান্ডার ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক টিপুর নেতৃত্বে সভাপতি শাজাহান সর্দার, কাদের সর্দারের ছেলে কুদ্দুস সর্দার, ফজলুর ছেলে মান্নান, সামুর ছেলে রুবেল, আশান, লাবা, রকি, রাজিবসহ শতাধিক লোকজন গুলি করে ও কুপিয়ে ১৪ জনকে আহত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা তৌহিদুলকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতরা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এই হত্যার ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামাল দিতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। নিহতের পরিবার হত্যাকারীদের দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
মিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, সামাজিক দ্বন্দ্ব ও পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অপরাধীদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
রাজু আহমেদ/এমজেইউ