আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে আবারও ফেরি চলাচল বন্ধ
যমুনা নদীতে নাব্য সংকটের কারণে আরিচ-কাজিরহাট নৌপথের আবারও ফেরি চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।
শনিবার (০৯ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ে আরিচা ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক আবু আবদুল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, শুক্রবার (০৮ নভেম্বর) রাত ১১টায় ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন মানিকগঞ্জের আরিচা ঘাট ও পাবনার কাজিরহাট প্রান্তে আটকা পড়া তিন শতাধিক পণবাহী ট্রাকের চালক ও সহযোগী শ্রমিকসহ যাত্রীরা।
আটকে পড়া ট্রাকের চালক আব্দুর রহিম বলেন, রাজশাহী যাওয়ার উদ্দেশ্যে নারায়ণগঞ্জ থেকে আরিচা ঘাটে এসেছি গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যায়। আজ (শনিবার) বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এখানেই ফেরি পারের অপেক্ষায় আছি। ফেরি চলাচল বন্ধ আছে। এখন বিকল্প পথে যাওয়ার চিন্তা করছি। ফেরিতে নদী পারাপার আরামদায়ক ও সহজে যাতায়াত করা যায় বলে আমরা এই নৌপথটি ব্যবহার করি। কিন্তু ফেরি চলাচল বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছি।
আটকে পড়া অন্যান্য ট্রাকের চালক, সহযোগী ও যাত্রীরাও দুর্ভোগের কথা জানিয়েছেন। তারা বলেন, প্রতি বছর এই সময়ে নদীতে নাব্য সংকট হয়। আগে থেকেই নদীতে খনন করলে এ অবস্থা হতো না। এই পথের যাত্রীরাও ভোগান্তিতে পড়তেন না।
আরও পড়ুন
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা ঘাটের ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ বলেন, দিন দিন যমুনা নদীর পানি কমে যাচ্ছে। গত তিন মাস ধরে আরিচা ঘাটের অদূরে ডুবোচরে ফেরি আটকে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় অর্ধেক পণ্য বোঝাইসহ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ফেরি চলাচল চালু রাখা হয়। ছয়টি খনন যন্ত্র দিয়ে দিয়ে খনন করেও নৌ চ্যানেলের নাব্য ঠিক রাখা যাচ্ছে না। ফলে ফেরি ডুবোচরে ধাক্কা খেয়ে দফায় দফায় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকছে। এভাবে ফেরি চলাচল করতে থাকলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। দুর্ঘটনা এড়াতে শুক্রবার রাত ১১টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। নৌপথের নাব্য স্বাভাবিক করতে বিআইডব্লিউটিএ নৌ চ্যানেলে ড্রেজিং কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছ। তবে নৌপথে নাব্য স্বাভাবিক করতে তাদের দুই থেকে তিন দিন লাগতে পারে। তারা চ্যানেল খুলে দিলেই আমরা ফেরি চলাচল শুরু করতে পারবো। কিন্তু নৌপথে নাব্য স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে।
এর আগে, নাব্য সংকটের কারণে ১ নভেম্বর রাত ১০টা থেকে ৩৭ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। পরে নৌপথে বিআইডব্লিউটিএ এর ড্রেজিং করার ফলে কিছুটা নাব্য স্বাভাবিক হওয়ায় ফেরি চলাচল চালু করা হয়।
সোহেল হোসেন/এফআরএস