ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা : রংপুরে যুবলীগ নেতা কারাগারে
রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা মামলায় কাউনিয়ার সারাই ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা এরশাদ আলমকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার হারাগাছ স্কুলের সামনে থেকে এরশাদ আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
যুবলীগ নেতা এরশাদ আলম সারাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আশরাফুল ইসলামের ছোট ভাই ও উদয়নারায়ন গ্রামের মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে।
রংপুর মেট্টোপলিটন হারাগাছ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম সোহেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি বলেন, জুলাই-আগস্টে রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যা ও হামলার ঘটনায় সদর থানায় একাধিক মামলা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে হারাগাছ থানার পাশে স্কুলের সামনে থেকে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা এরশাদ আলমকে গ্রেপ্তার করে। রাতেই তাকে কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
রংপুর মেট্টোপলিটন কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, এরশাদ আলমকে রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে পুলিশের অভিযানে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা এরশাদ আলম গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়ায় সারাই ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যুবলীগ নেতা এরশাদ আলম তুচ্ছ ঘটনায় গ্রামের অসহায় মানুষদের হামলা-মামলা করে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এরশাদের অন্যায় আর দলীয় দাপটে গ্রামের অনেকেই প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমজেইউ