স্বাধীনতা দিবস এবং ৭ নভেম্বর একই সূত্রে গাঁথা : প্রিন্স
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের চেতনার সঙ্গে ৭ নভেম্বরের চেতনা এবং ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের চেতনা ও আকাঙ্ক্ষা একই সূত্রে গাঁথা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসটি পালন করতে দেয়নি। তারা ক্ষমতায় এসে দিবসটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। কারণ আওয়ামী লীগ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসকে ভয় পায়।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলা পরিষদের সামনে দিবসটি উপলক্ষ্যে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবে শহীদ জিয়াউর রহমানকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত করেছিল। সেই থেকে এই দিবসটিকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ওই বিপ্লবের মধ্য দিয়েই বাকশালের কবল থেকে রাষ্ট্রের সংস্কার এসেছিল। দেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পাশাপাশি আইনের শাসন কায়েম হয়েছিল। এ ছাড়া রাষ্ট্রের বহু সংস্কার ৭ নভেম্বরের বিপ্লবের মধ্য দিয়ে সাধিত হয়েছিল। এ কারণেই ১৬ ডিসেম্বর, ২৬ মার্চ, ৭ নভেম্বর ও ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার গণবিপ্লব অতি গুরুত্বপূর্ণ। এই দিবসগুলো আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। এই চেতনা সমুন্নত রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
সমাবেশ শেষে একটি শোভাযাত্রা ধোবাউড়া উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শেষ হয়। এই শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য মফিজ উদ্দিন, অধ্যাপক আজাহারুল ইসলাম কাজল, আনিসুর রহমান মানিক, মোয়াজ্জেম হোসেন লিটন, ফরহাদ রব্বানী সুমন প্রমুখ।
মো. আমান উল্লাহ আকন্দ/এমজেইউ