আন্দোলনে নিহত আব্দুল গণির বাড়িতে উপহার নিয়ে রাজবাড়ীর ডিসি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদ আব্দুল গণির (৪৫) পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন রাজবাড়ীর নবাগত জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানাপুর নতুন বাজার এলাকায় শহীদ আব্দুল গণির বাড়িতে যান।
এ সময় জেলা প্রশাসক আব্দুল গণির বিধবা স্ত্রী লাকি আক্তার, শিশুসন্তান জান্নাত আক্তারের জন্য নতুন পোশাক উপহার দেন। এ ছাড়া পরিবারের সদস্যদের জন্য নিয়ে যান বিভিন্ন ধরনের ফল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী।
জেলা প্রশাসককে নিজ বাড়িতে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে যান শহীদ গণির স্ত্রী লাকি আক্তার ও মেয়ে জান্নাত। এ সময় তাদেরকে দ্রুত জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে অনুদানের টাকা দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন নবাগত জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সিদ্ধার্থ ভৌমিক, রাজবাড়ী সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল আলম, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) নাহিদ আহমেদ এবং সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অংকন পাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সিদ্ধার্থ ভৌমিক বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত রাজবাড়ীর খানখানাপুরের শহীদ আব্দুল গণির পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আজ জেলা প্রশাসক স্যার তার বাড়িতে গিয়েছিলেন। শহিদ গণির পরিবারের খোঁজখবর নিয়েছেন। এ সময় তিনি শহীদ পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য, নিহত আব্দুল গণি রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানাপুর ইউনিয়নের নতুন বাজার এলাকার আব্দুল মজিদ শেখের ছেলে। তিনি রাজধানীর গুলশান-২ সিক্সসিজন নামক আবাসিক হোটেলের কারিগরি বিভাগে কাজ করতেন। গত ১৯ জুলাই সকালে ঢাকার উত্তর তিনি বাড্ডার গুপীপাড়ার বাসা থেকে কর্মস্থলের দিকে হেঁটে রওনা হন। পথে শাহজাদপুর বাঁশতলা এলাকায় কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার মধ্যে পড়েন তিনি। সংঘর্ষ চলাকালে তার মাথার ডান পাশে গুলি লাগে। গুলিবিদ্ধ হয়ে দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় পড়ে থাকেন গণি। পরে স্থানীয় লোকজন হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/এমজেইউ