আ. লীগের লোক দিয়ে উপজেলা বিএনপির কমিটি, প্রতিবাদে বিক্ষোভ
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা বিএনপির কমিটি টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগের লোকজন দিয়ে গঠন করা হয়েছে। এমন অভিযোগ তুলে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের একাংশ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন।
রোববার (৩ নভেম্বর) জাজিরা উপজেলা বিএনপির সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাস্টার আব্দুল করিম আক্কাস মাদবরের নেতৃত্বে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন দলটির নেতাকর্মীরা।
দলীয়, বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার মূলনা ইউনিয়ন বিএনপির কর্মীসভায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য সর্দার একেএম নাছির উদ্দীন কালু উপস্থিত হয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন
কমিটিতে বজলুর রসিদ শিকদারকে আহ্বায়ক, সুরুজ মাদবর ও শাহিন শিকদারকে যুগ্ম আহ্বায়ক ও মাহবুব আলম টিটু আকনকে সদস্য সচিব ঘোষণা করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়।
কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সুরুজ মাদবর ও শাহিন শিকদার আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপুর সমর্থক ও আওয়ামী লীগ নেতা।
মূলনা ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক এপিএস মিয়া নূরউদ্দিন অপুর সমর্থকদের দাওয়াত করা হয়নি ও তাদের ছাড়াই কমিটি করা হয়েছে।
এমন অভিযোগ তুলে জাজিরা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাস্টার আব্দুল করিম আক্কাস মাদবরের নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী জাজিরা উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
সমাবেশে নাছির উদ্দীন কালুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের লোকজন দিয়ে একটি পকেট কমিটি করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপুর লোকজনের হাতে বিভিন্ন সময় নির্যাতিত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে গঠন করা উপজেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্তির দাবি জানান নেতাকর্মীরা। দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই কমিটি বিলুপ্ত করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুমকি প্রদানও করেন তারা।
বিক্ষোভ সমাবেশে নেতাকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি কাজী জয়নাল আবেদীন, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগির হোসেন প্রমুখ।
বিষয়টি নিয়ে শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য সর্দার একেএম নাছির উদ্দীন কালু ঢাকা পোস্টকে বলেন, কম্বলের পশম বাছলে কম্বল তো আর থাকে না। আক্কাস মাস্টারকে কেউ পছন্দ করেন না। সুরুজসহ অন্যদের তো সবাই পছন্দ করেন। আমি আওয়ামী লীগের লোকজন দিয়ে কমিটি করেছি, এমন কোনো প্রমাণ কী তাদের কাছে আছে?
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের আগে যারা ইকবাল হোসেন অপুকে ফুলের মালা দিয়েছে, তারাই এখন মাঝিরঘাট থেকে কুচাইপট্টি পর্যন্ত নুরুলদীন অপুর ছবি লাগিয়ে বিএনপি, যুবদল সেজেছে।
সাইফ রুদাদ/এমএসএ