জামায়াত নেতার ওপর বিএনপি নেতার হামলা
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে বাজার কমিটির নির্বাচন চাওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর এক নেতার ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। শনিবার (২ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার পিরিজপুর বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত জামায়াত নেতা হাবিবুর রহমান উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়ন জামায়াতে আমির। অভিযুক্ত মাহমুদ আলম লিটু উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি। তার ছোট ভাই বাজিতপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি কবির হোসেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর বাজার কমিটিও বিলুপ্ত হয়ে যায়। পরে পিরিজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাহমুদ আলম লিটু ও তার ছোট ভাই বাজিতপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি কবির হোসেন মিলে নিজেদের পছন্দের লোকজন দিয়ে কমিটি গঠন করেন। এই কমিটি বাতিল চেয়ে ও বাজার বণিক সমিতি সদস্যদের মাধ্যমে কমিটি গঠন করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেন ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমির হাবিবুর রহমান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে পিরিজপুর বাজারে হাবিবুর রহমানের ফার্মেসিতে গিয়ে লোকজন নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। পরে হাবিবুর রহমানকে ফার্মেসির ভেতরে রেখে তালা মেরে আটকে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
পিরিজপুর বাজারের ব্যবসায়ী ও বাজার কমিটির সাবেক আহ্বায়ক মজিবুর রহমান জানান, মূলত সদস্যদের ভোটে নির্বাচন চাওয়ায় জামায়াত নেতা হাবিবুর রহমানের ওপর হামলা করা হয়েছে। পিরিজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাহমুদ আলম লিটু নিজেদের লোকজন দিয়ে কমিটি গঠন করে ফেলেছেন।
কিশোরগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক মো. রমজান আলী জানান, পিরিজপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির হাবিবের ফার্মেসিতে গিয়ে তার ওপর হামলা চালান পিরিজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাহমুদ আলম লিটু ও তার লোকজন। পরে হাবিবকে ফার্মেসিতে ভেতরে রেখে তালা মেরে আটকে রাখে। এ ঘটনা খবর পেয়ে আমি ইউএনও, ওসি ও সেনাবাহিনী ক্যাম্পে ফোন করলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে তাকে ফার্মেসি থেকে উদ্ধার করে। এ ঘটনাটি আমি উপজেলা বিএনপির সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান ইকবালকে জানিয়েছি।
তবে পিরিজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাহমুদ আলম লিটু হামলার ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, আমি ও আমার ভাই কবির হোসেন লোকজন নিয়ে হাবিব ফেসবুকে বিএনপিকে ফ্যাসিস্ট লিখেছে কিনা তার জবাব চাওয়ার জন্য গেছি। এর বেশি কিছু করিনি।
বাজিতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরাদ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। তাছাড়া এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। তাদের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোহাম্মদ এনামুল হক হৃদয়/আরএআর