কাজিরহাট ঘাটে ৪ কিলোমিটার যানজটে আটকা শত শত পণ্যবাহী ট্রাক
নাব্যতা সঙ্কটের কারণে পাবনার কাজিরহাট-আরিচা নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও যানবাহন শ্রমিকরা। কাজিরহাট ঘাটে দীর্ঘ ৪ কিলোমিটার যানজটে আটকা পড়েছে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক।
জানা গেছে, যমুনা নদীতে নাব্যতা সঙ্কটের কারণে শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাত ৯টা থেকে কাজিরহটা-আরিচা নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এরপর থেকেই যানজট দীর্ঘ হতে থাকে।
বিআইডব্লিউটিসি কাজিরহাট ঘাটের সহকারী ম্যানেজার মো. ফখরুজ্জামান বলেন, যমুনা নদীতে প্রচণ্ড নাব্যতা সঙ্কট দেখা দেওয়ায় শুক্রবার রাত ৯টা থেকে কাজিরহটা-আরিচা নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। প্রতিবছর এই সময়ে নাব্যতা সঙ্কট দেখা দেয়। তবে এবার অবস্থা বেশি খারাপ। ইতোমধ্যে ডুবোচরে ধাক্কা খেয়ে আমাদের দুটি ফেরির কিছুটা ক্ষতিও হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন
আব্দুল মমিন নামের এক ট্রাক চালক বলেন, শুক্রবার রাত থেকে গাড়ি থামিয়ে বসে আছি। কখন যেতে পারবো বলতে পারছি না। এ এক সীমাহীন কষ্ট।
মতিউর রহমান নামের আরেক ট্রাকচালক বলেন, এমন জায়গায় আটকা পড়েছি বের হয়ে অন্য সড়কপথে ঢাকায় যাবো তারও উপায় নেই। এ দুর্ভোগের শেষ কখন জানি না। কর্তৃপক্ষ কিছু বলতে পারছে না। তারা তো জানে প্রতিবছর এই সময় নাব্যতা সঙ্কট দেখা দেয়। তাহলে সে হিসেবে তাদের প্রস্তুতি কেন থাকে না সেটাই বুঝি না।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা ঘাটের ডিজিএম নাছির মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, বর্তমানে এই রুটে ৫টি ফেরি চলাচল করে। ফেরি চলাচলের জন্য কমপক্ষে ৮-৯ ফুট নাব্যতা দরকার। কিন্তু বর্তমানে নাব্যতা পাওয়া যাচ্ছে সাড়ে ৬ থেকে সাত ফুট পর্যন্ত। নাব্যতা ফিরলে ফেরি চালানো সম্ভব হবে। এখন কবে ড্রেজিং করে দ্রুত নাব্যতা ফেরাতে পারবে সেটা বিআইডব্লিউটিএ ভালো বলতে পারবে।
বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নাব্যতা সঙ্কট তেমন নয়। আসলে প্রচণ্ড স্রোতের কারণে একটি চর ভেঙে নদীর ক্যানেলে প্রবেশ করেছে। যেটি ড্রেজিং কাজ চলছে। পানির নাব্যতা এখনও ৮ থেকে সাড়ে ৮ ফুট পর্যন্ত আছে। ড্রেজিং শেষ হলে ফেরি চলাচল শুরু হবে।
রাকিব হাসনাত/এমএসএ