সীমান্তে নিহত রেজাউলের মরদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত রেজাউল করিমের (২৬) মরদেহ হস্তান্তর করেছে ভারত।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে বিএসএফ নেত্রকোণা-৩১ বিজিবির অধীনস্থ বিজয়পুর বিওপির বাগমারা এলসিতে মরদেহটি হস্তান্তর করে।
নিহত রেজাউল করিমের বাড়ি শেরপুর জেলার সদর উপজেলার আলিনাপাড়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। রেজাউল করিমের শেরপুর শহরের হসপিটাল রোডে ওষুধের দোকান রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে ধোবাউড়া উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের মুন্সাপাড়া বিজিবি ক্যাম্প দীগলবাঘ সীমান্ত এলাকায় ১১৩৯/৯ এস পিলারের কাছে রেজাউল বিএসএফের গুলিতে নিহত হন। পরে বিএসএফ তার মরদেহ নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন
স্থানীয়রা জানান, রেজাউল স্বল্পমূল্যে ওষুধ আনার জন্য ওই দিন ভারতের প্রবেশ করার পরই বিএসএফের গুলি চালানোর শব্দ শুনতে পান তারা।
নিহত রেজাউল করিমের দুলাভাই মুকুল ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা বিএসএফের কাছ থেকে মরদেহ গ্রহণ করেছি। তার শরীরে গুলির কোনো চিহ্ন দেখতে পাইনি। আমরা এখন নেত্রকোণা জেলার দূর্গাপুর থানায় রয়েছি। পুলিশ তাদের বাকি কাজ করছে। গুলির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য নেত্রকোণা জেলা হাসপাতালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।
মরদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে বিজিবি নেত্রকোনা-৩১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম কামরুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ দুপুরে ভারতীয় সীমান্ত পুলিশের কাছ থেকে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাচ্চু মরদেহটি গ্রহণ করেছে। এ সময় নেত্রকোণা-৩১ ব্যাটালিয়নের একটি টিম উপস্থিত ছিল। পুলিশের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক একটি সুরতহাল করা হয়েছে। সুরতহালে মরদেহে কোনো গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরবর্তী পদক্ষেপগুলোর জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ওসি বাচ্চু ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা মরদেহটি বিএসএফের কাছ থেকে বুঝে পেয়েছি। এই বিষয়ে থানায় মামলার কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে আপনাদের বিস্তারিত আপডেট দিতে পারব।
নাইমুর রহমান/আরকে