মানিকগঞ্জে ভবঘুরে শিশু-কিশোরদের উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর সিদ্ধান্ত
মানিকগঞ্জে ভবঘুরে-মাদকাসক্ত এবং ভিক্ষাবৃত্তির সঙ্গে জড়িত শিশুদের নিয়ে দেশের জনপ্রিয় অনলাইন সংবাদমাধ্যম ঢাকা পোস্ট ডটকমে সংবাদ প্রকাশের পর জেলা প্রশাসন তাদের তালিকা করে শিশু-কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সুরক্ষা কমিটির ত্রৈমাসিক সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। সভায় আলোচনা শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে জেলার ভবঘুরে ও মাদকাসক্ত শিশুদের নিয়ে গত ১৯ অক্টোবর ঢাকা পোস্টে ‘ঠিক মতো দুবেলা খাওনই পাই না, আবার লেখাপড়া’-এই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এর পরই জেলা প্রশাসনের নেওয়া এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে সুশীল সমাজের নাগরিকরা।
জানা গেছে, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন জেলা শহরের রাস্তাঘাটে ভবঘুরে অনেক শিশু ও কিশোর ড্যান্ডি (আঠাজাতীয় নেশাদ্রব্য) সেবন করে। পরিবারের অবহেলায় সেসব শিশু ও কিশোররা ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়ছে। এছাড়া মাদক সেবনসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডেও জড়িয়ে পড়ছে তারা। দীর্ঘদিন ধরে অযত্ন, অবহেলায় বেড়ে উঠলেও তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তেমন নজরদারি ছিল না।
মানিকগঞ্জের অবহেলিত শিশু-কিশোরদেরদের ভিক্ষাবৃত্তি, ভবঘুরে অবস্থায় রাস্তাঘাটে মাদক সেবন ও তাদের মানবেতর জীবনযাপন নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে জেলা প্রশাসনের। এসব শিশুদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে ওই সভায় বক্তব্য দেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস।
আরও পড়ুন
সভায় জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন সিভিল সার্জন ডা. মো. মকছেদুল মোমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অবস) ইমতিয়াজ মাহবুব, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবদুল বাতেন। সভায় সবার সম্মতিতে ভবঘুরে এসব শিশু ও কিশোরদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের উন্নতকরণে শিশু-কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, অবহেলিত শিশু-কিশোরদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের উন্নয়নে আমরা আগে থেকেই কাজ করে যাচ্ছি। তবে সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ার পরে বিষয়টির আরও গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব শিশু ও কিশোরদের তালিকা করে তাদের সরকারি শিশু-কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হবে।
সোহেল হোসেন/এফআরএস