সৈকতে প্রবেশ নিষেধ, কিন্তু মেরিনড্রাইভে মানুষ আর মানুষ
লকডাউনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কক্সবাজারের সাগরতীরে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। নির্ধারিত কয়েকটি পয়েন্টে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন কাজ করলেও মেরিনড্রাইভ সড়কের দরিয়ানগর, প্যারাসুট পয়েন্টসহ কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে সৈকতে নেমে পড়ছে মানুষ।
তাদের অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। দর্শনার্থীরা বলছেন, ঈদ আনন্দ উপভোগে সৈকতে ছুটে এসেছেন। তবে টুরিস্ট পুলিশ বলছে, কড়াকড়ি না করে সৈকতে প্রবেশে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
কক্সবাজার সৈকতের কবিতা চত্ত্বর থেকে ডায়াবেটিক পয়েন্টে ঈদের দিন থেকে চোখে পড়ে উপচেপড়া ভিড়। লকডাউনের কারণে সৈকতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানছেন না কেউ।
সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে রয়েছে বিচ কর্মী ও টুরিস্ট পুলিশের কড়া পাহারা। অনেক দর্শনার্থী এ পাহারা অমান্য করে সৈকতে নেমে পড়ার চেষ্টা করছেন। আর যেসব পয়েন্টে নজরদারি নেই সেসব পয়েন্টে অবাধে যাতায়াত করছেন। তার ওপর মাস্ক ব্যবহার কিংবা সামাজিক দূরত্বের তোয়াক্কা করছেন না অনেকেই।
সৈকতের ডায়বেটিক পয়েন্টে বেড়াতে আসা শহিদুল ইসলাম বলেন, ঈদের সময় একটু বাড়তি আনন্দের জন্য কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে এলাম। তবে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সৈকতে বেড়াচ্ছি।
আরেকজন সামসুল আলম বলেন, অনেক দিন ধরে বাচ্চাদের নিয়ে কোথাও বের হওয়া যাচ্ছিল না। বাচ্চারাও কান্না করতেছে। তাই বাচ্চাদের নিয়ে সৈকতে বেড়াতে এসেছি।
দর্শনার্থীদের সৈকতে নামতে নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি প্রতিটি পয়েন্টে টহল বাড়ানো হয়েছে বলে ঢাকা পোস্টকে জানান ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিউদ্দিন সরকার।
তিনি বলেন, নির্ধারিত যেসব পয়েন্ট রয়েছে সেখানে কোনো মানুষকে নামতে দেয়া হচ্ছে না। সরকারের যে নিষেধাজ্ঞা তা বাস্তবায়নে আমরা টহল জোরদার করেছি। তবে বিচ্ছিন্ন কিছু সৈকত পয়েন্টে মানুষের আনাগোণা বেড়েছে। সেখান থেকে তাদের তুলে দেয়া হচ্ছে।
কক্সবাজার জেলা প্রসাশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) সৈয়দ মুরাদ ইসলাম ঢাকা পোস্টকে জানান, সৈকতে কেউ যাতে প্রবেশ করতে না পারে এজন্য সমন্বয়ের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে পরিচালনা করা হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালতও।
তবে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঈদের দিন থেকে কাউকে সৈকতে নামতে দেয়া হচ্ছে না। সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে প্রশাসন। আমাদের লোকজনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অনেকে সৈকতে ঢুকে পড়ছে। টহল জোরদার করা হয়েছে সেটিও কমে আসবে দ্রুত।
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে পহেলা এপ্রিল ফের লকডাউন আসে, এরপর বন্ধ হয়ে যায় সমুদ্র সৈকতসহ কক্সবাজারের পর্যটন কেন্দ্রগুলো।
মুহিব/এমএএস