ধরবে-মারবে-কাটবে, এটাই ছিল আ. লীগের নীতি : রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও আমরা বিএনপি পরিবারের প্রধান উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগ বিচারের ধার ধারেনি। তারা আইনের শাসনের পরোয়া করেনি। ওরা মনে করেছে, যারা আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করে, তারা প্রত্যেকে অপরাধী। যারা শেখ হাসিনার বিরোধিতা করে তারা প্রত্যেকে অপরাধী। ৭২-৭৫ এ তারা মনে করতো বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের বিরোধিতা করা মানেই অপরাধ। এই কারণে অপরাধের শাস্তি হিসেবে তারা কোর্ট কাচারিতে যাওয়াকে পছন্দ করতো না। ধরবে-মারবে-কাটবে এটাই ছিল আওয়ামী লীগের নীতি। আর এবার তো ছিল ১৫-১৬ বছর ক্ষমতায়, জুলুমটা কী পরিমাণ হতে পারে চিন্তা করেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে মরজাল বাসস্ট্যান্ডে জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে বাংলাদেশের নাগরিকদের ভোটার তথ্য চুরি করে বিদেশে পাচারের পর সেগুলো বিক্রি করা হয়েছে। এ দেশের মানুষের সকল তথ্য এখন অন্য দেশের প্রতিনিধিদের কাছে রয়েছে। আওয়ামী লীগের আমলে দেশের ব্যাংকগুলো থেকেও প্রচুর পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। শেখ হাসিনার বাবার আমল থেকেই দেশের দুরাবস্থা ছিল।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আপনারা লুট করেন, আমরা তৈরি করি; আপনারা পাচার করেন, আমরা সংরক্ষণ করি। বিএনপির আমলে দেশ থেকে এত টাকা পাচার হয়নি। সাধারণ মানুষ যেন তাদের আয় অনুযায়ী খেতে পারে এজন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বারবার অনুরোধ করেছি আপনারা বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন। আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা এখনো অবস্থান করছে বলেই তারা জুনায়েদ হাসানকে (নরসিংদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত) পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিয়েছে। অনতিবিলম্বে তিনি প্রশাসনের কাছে জুনায়েদ হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন।
অনুষ্ঠানে আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও আমরা বিএনপি পরিবারের প্রধান উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। এ ছাড়া বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল কবির খোকন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মনজুর এলাহীসহ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ছাত্র আন্দোলনসহ আওয়ামী লীগের লোকজনের হাতে নিহত জুনায়েদ হাসান, রাহাত, রোস্তম ও হাসানের পরিবারের মাঝে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।
পরে বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত নরসিংদীর সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের নন্দী গ্রামের নবম শ্রেণির ছাত্র তাহমিদের বাড়িতে যান রুহুল কবির রিজভী। সেখানে তার পরিবারকে সমবেদনা জ্ঞাপনের পর আর্থিক সহযোগিতা করা হয়।
তন্ময় সাহা/এমজেইউ