এক স্থানে বিএনপির ২ গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি, ১৪৪ ধারা জারি
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌর বিএনপির দুই পক্ষ একই স্থানে ও একই সময়ে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেওয়াকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল ৩টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত পৌরশহরের রাজকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকার এক কিলোমিটারের মধ্যে এই আইন বলবৎ থাকবে।
আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুরুল আলম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বিএনপির দুই পক্ষ একই সময়ে ও একই স্থানের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেওয়াকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত রাজকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আক্কেলপুর পৌর বিএনপি বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় রাজকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে পৌরসভার ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপির ওয়ার্ড কমিটি গঠনের ঘোষণা দেয়। সকাল থেকে রাজকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ ডেকোরেটর দিয়ে সাজানো হয়। এর আগে, বুধবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পৌর বিএনপির একটি অংশ পকেট কমিটি গঠনের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ তুলে শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে আক্কেলপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ওয়ার্ড কমিটি গঠনের দাবি জানায়।
এরপর তারা আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় রাজকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাল্টা প্রতিবাদ সমাবেশের আহ্বান করে। এ নিয়ে উপজেলা ও পৌর বিএনপির দুটি আলাদা পক্ষের নেতাকর্মীদের উত্তেজনা বিরাজ করছিল। আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কায় রাজকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে প্রশাসন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা জারি করে।
আক্কেলপুর পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আফাজ উদ্দিন বলেন, আমরা নিয়ম অনুযায়ী ওয়ার্ড কমিটি গঠনের জন্য রাজকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ নির্ধারণ করেছিলাম। দলের একটি পক্ষ ইচ্ছা করে একই স্থানে সমাবেশ ডেকেছে। এ কারণে প্রশাসন সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। আমরা আইন মেনে অন্য কোনো স্থানে কমিটি গঠন করবো।
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ময়নুল ইসলাম বলেন, রাজকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ এক কিলোমিটার এলাকায় ১৪৪ ধারা বলবৎ আছে। যদি কেউ আইন ভেঙে সভা-সমাবেশ করতে চায় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চম্পক কুমার/এফআরএস