‘বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই’
ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ কমিটির চতুর্থ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৬ অক্টোবর) খুলনা সিটি কর্পোরেশনের জিআইজেড সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে খুলনা বিভাগের স্থানীয় সরকার দপ্তরের পরিচালক মো. তবিবুর রহমান বলেন, ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে সচেতনতার বিকল্প নেই। ডেঙ্গু পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে। খুলনা শহর একটি আদর্শ হেলথ সিটি। সুতরাং বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে হালকাভাবে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। প্রত্যেকে তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে এ প্রকোপ থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
সভায় প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান জানান, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ওয়ার্ডভিত্তিক ক্রাশ প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। এ প্রোগ্রামের আওতায় মশা নিধনে প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিদিন দুই শিফটে কাজ করা হচ্ছে। প্রথম শিফটে লার্ভিসাইড বা কালো তেলের যে কোন একটি স্প্রে করা হয় এবং বিকেলে অ্যাডাল্টিসাইড ফগিং করা হয়। এ কাজে ৫৬টি ফগার মেশিন ও ৪৭টি হ্যান্ড স্প্রে মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন ডোবা, নালার আবর্জনা ও ড্রেনের পেড়ীকাদা অপসারণ করা হচ্ছে।
সভায় দোলখোলা এবং রায়পাড়া এলাকা দুইটিকে ডেঙ্গু হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। এ এলাকা দুটিসহ সিটি কর্পোরেশনের জনবহুল স্থানসমূহে মাইকিংসহ অন্যান্য প্রচার কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
সভায় সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম, কেসিসির সচিব শরীফ আসিফ রহমান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা সানজিদা বেগম, প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) মশিউজ্জামান খান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. স্বপন কুমার হালদার, ভেটেরিনারি সার্জন ড. পেরু গোপাল বিশ্বাস, খুলনা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. শেখ মোহাম্মদ কামাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় জানুয়ারি থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ৩৬৭ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তবে কোন মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।
মোহাম্মদ মিলন/এসকেডি