শেবাচিমে আগুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি, বন্ধ থাকবে মেডিসিন ইউনিট
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আগামী তিন কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান শাহিন। তিনি বলেন, অনুমান নির্ভর কারণ বলা সম্ভব না। কমিটি প্রতিবেদন দিলেই জানা যাবে কেন এই ঘটনা ঘটলো।
তিনি আরও বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ মারা গেছে বলে জানা যায়নি। তবে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. ইমরুল কায়েসকে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, বিভাগীয় কমিশনারের প্রতিনিধি, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি, ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক এবং গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী।
এদিকে ঘটনার পরপরই মেডিসিন ইউনিট পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপপরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল। পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হতাহতের কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। অগ্নিকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পরার সঙ্গে সঙ্গেই রোগীর স্বজন, চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফরা পরস্পরের সহায়তায় রোগীদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে সক্ষম হন।
আরও পড়ুন
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে দেখে মনে হচ্ছে, ভবনের নিচতলার স্টোর রুম থেকে আগুন লেগেছে। ওখানের বিভিন্ন আসবাবপত্র, ম্যাট্রেস, মশারি, চাঁদরসহ বিভিন্ন মালামাল পুড়েছে। আগুন নিচতলা থেকে আর কোনো তলায় ছড়ায়নি। তবে ওপরের তলাগুলোতে ধোয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। মেডিসিন ইউনিট পুরোপুরি চালু করতে কমপক্ষে তিন দিন সময় দরকার হবে। এর মধ্যে ভবনের নিচতলা ছাড়া বাকি ফ্লোরগুলো রোগীদের সেবার জন্য চালু করা সম্ভব হবে। নিচতলায় স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করতে আরও সময় লাগবে।
হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিট ভবনে পাঁচটি ওয়ার্ডের ১০টি ইউনিট ও ডেঙ্গু ওয়ার্ডে রোববার ৫৪৩ জন রোগী অবস্থান করছিল। স্টাফরা জানিয়েছেন, রোগীর সঙ্গে স্বজন, নার্স চিকিৎসক মিলিয়ে ১২শ লোকের বেশি অবস্থান করছিল।
উল্লেখ্য, মেডিসিন ইউনিটের ভবন পুরাপুরি প্রস্তুত হওয়ার আগ পর্যন্ত মূল ভবনে চিকিৎসা দেওয়া হবে রোগীদের।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এএমকে