স্ত্রীকে হত্যা করে ডোবায় ফেলে দিলেন স্বামী
পাবনার সাঁথিয়ায় কানিজ ফাতেমা (২০) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহ ডোবায় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। নিখোঁজের দুইদিন পর শনিবার (১৫ মে) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার পাড় করমজা এলাকার ইছামতি নদীর ডোবা থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত কানিজ ফাতেমা বেড়া পৌর এলাকার মো. আব্দুল কাদেরের মেয়ে ও সাঁথিয়া পৌর এলাকার ফেসওয়ান গ্রামের চাঁদু শেখের ছেলে রাকিবুল ইসলামের স্ত্রী।
নিহত কানিজের ভাই ফরিদ উদ্দিন বলেন, দুই বছর আগে রাকিবুলের সঙ্গে বিয়ে হয় কানিজের। বিয়ের সময় সাড়ে ৫ লাখ টাকা যৌতুক নেয় রাকিবুলের পরিবার। বিয়ের পরও তারা বিভিন্ন সময় টাকার জন্য কানিজকে নির্যাতন করতো। এছাড়াও অন্য মেয়ের সঙ্গে রাকিবুলের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। তার পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় আমার বোনকে হত্যা করা হয়েছে।
কানিজের বাবা আব্দুল কাদের বলেন, বিয়ের পর থেকেই জামাই রাকিবুল আমার মেয়েকে খুবই নির্যাতন করত। মেয়ে কান্না করতে করতে আমার বাড়িতে মাঝেমধ্যেই চলে আসত। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই। রাকিবুলের যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলম ঢাকা পোস্টকে জানান, দুই বছর আগে রাকিবুলের সঙ্গে বিয়ে হয় কানিজ ফাতেমার। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক ঝামেলা চলছিল। যৌতুক সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে কলহ তৈরি হয়।
দুইদিন আগে ঈদের রাতে কানিজকে তার বাড়ি থেকে কৌশলে সাঁথিয়ার করমজা এলাকায় ডেকে নিয়ে যান রাকিবুল। পরে তিনি কানিজকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহ একটি ডোবায় ফেলে পালিয়ে যান। পরিবারের লোকজন বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করে না কানিজকে পেয়ে বেড়া থানায় নিখোঁজের অভিযোগ করেন। ঈদের দিন বিকেলে দাওয়াত দিয়ে জামাই রাকিবুলকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে কৌশলে আটকে পুলিশকে খবর দেয় কানিজের পরিবার। পরবর্তীতে পুলিশ রাকিবুলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি স্ত্রীকে হত্যার কথা শিকার করেন।
বেড়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। নিহতের বাবা আব্দুল কাদের বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। স্বামী রাকিবুলকে আটক করা হয়েছে। হত্যার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেছেন।
রাকিব হাসনাত/আরএআর