কুয়াকাটার ৭০ শতাংশ হোটেল-রিসোর্ট বুকড
দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা কেটে যাওয়ার পর এই প্রথম কুয়াকাটায় পর্যটকদের ঢল নামার সম্ভাবনা রয়েছে। শারদীয় দুর্গাপূজা আর সাপ্তাহিক ছুটিকে সামনে রেখে ১০-১৩ অক্টোবর পর্যন্ত চার দিন সরকারি ছুটি থাকায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কুয়াকাটার পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
ইতোমধ্যে বুকড হয়ে গেছে ৭০ শতাংশ হোটেল-মোটেল এবং রিসোর্ট। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, কিছুটা হলেও বিগত দিনের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন।
বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন নগরী, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটায় গত ৫ অক্টোবর দেশের পট পরিবর্তনের পরে পর্যটন শূন্য হয়ে পড়ে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পর্যটক বাড়তে থাকে। দুর্গাপূজার ছুটিতে আবারও চাঙ্গা হয়ে উঠেছে কুয়াকাটার পর্যটন শিল্প।
ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কেএম বাচ্চু বলেন, চার দিনের সরকারি ছুটি উপলক্ষ্যে কুয়াকাটায় পর্যটকদের বাড়তি চাপের সম্ভাবনা রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আগত পর্যটকদের সেবা দিতে আমাদের সব ট্যুর গাইড সদস্য সম্পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছেন।
হোটেল খান প্যালেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেল খান বলেন, আগামী চার দিনের ছুটিকে সামনে রেখে দুই দিনের জন্য আমাদের হোটেলের রুমগুলো শতভাগ বুকড হয়েছে। বাকি দুই দিনে প্রায় ৮০ শতাংশ রুম বুকড হয়েছে। এখন অনেক ফোন আসছে কিন্তু আমরা রুম দিতে পারছি না।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, কুয়াকাটায় সর্বমোট ২০০টি আবাসিক হোটেল-মোটেল রয়েছে তার মধ্যে আগামি ১০-১৩ তারিখের জন্য প্রায় ৭০ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকড হয়ে গেছে এবং পর্যটকদের যে কোনো সেবা দিতে ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) প্রস্তুত রয়েছে।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি এমএ মোতালেব শরীফ বলেন, কুয়াকাটায় অবস্থানরত প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির হোটেলগুলো অনেক আগেই বুকড হয়েছে। তবে তৃতীয় শ্রেণির হোটেলগুলোতে কিছু রুম ফাঁকা রয়েছে। সেবার মান বাড়াতে ও পর্যটকদের উন্নতসেবা দিতে হোটেল ও রিসোর্টগুলোও প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে। দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা, সমুদ্র সৈকত উপভোগে আসা বিশ-ত্রিশ হাজার পর্যটকদের রাত্রিযাপনের জন্য ব্যবস্থা রয়েছে। তবে পর্যটক বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিনিয়োগকারীরও প্রতিনিয়ত কুয়াকাটায় আসতে শুরু করেছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের পুলিশ সুপার আনসার উদ্দিন শুভ বলেন, আগামী চার দিনের ছুটিতে অসংখ্য পর্যটকের আগমন হবে কুয়াকাটায়। যে কারণে আগে থেকেই ট্যুরিস্ট পুলিশের কয়েকটি টিম মোতায়েন রয়েছে। সার্বক্ষণিক নজরদারি ও মাইকিংসহ পর্যটকদের নিরাপদে থাকার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে এবং কুয়াকাটার সব দর্শনীয় স্থানগুলোতে ট্যুরিস্ট পুলিশের একাধিক টিম দায়িত্ব পালন করবে।
এসএম আলমাস/আরকে