শিক্ষা ব্যবস্থায় সরকারি-বেসরকারি নামে চরম বৈষম্য রাখা হয়েছে
শিক্ষকের কণ্ঠস্বর, শিক্ষায় নতুন সামাজিক অঙ্গীকার— এ প্রতিপাদ্যে সারা দেশের মতো পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়াতেও পালিত হয়েছে বিশ্ব শিক্ষক দিবস। দিবসটি উপলক্ষ্যে আজ (শনিবার) সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বর হতে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে। পরে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহবুবুল হাসান। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন— মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শওকত আলী, ভজনপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শিপন মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, কাজী শাহাবুদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ ইমদাদুল হক, তেঁতুলিয়া সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহিনা ফেরদৌসী, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি হারুন অর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ফারুক, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক মোকবুলার রহমান প্রমুখ। র্যালি ও আলোচনায় অংশ নেন উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক, কর্মচারীসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মরত সাংবাদিকরা।
সভায় শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তারা বলেন, শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড যদি হয়, সে মেরুদণ্ড তৈরি করেন শিক্ষকরা। অথচ শিক্ষকরাই আজ বিভিন্ন বৈষম্যের শিকার। কোনো সভ্য দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈষম্য রাখা হয় না। কিন্তু বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় সরকারি-বেসরকারি নামে চরম বৈষম্য রাখা হয়েছে। বৈষম্যহীন একটা নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সকল শিক্ষা ব্যবস্থা সরকারিকরণ, শিক্ষা কমিশন গঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
আরও পড়ুন
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সহকারি কমিশনার মাহবুবুল হাসান বলেন, আমিও একজন শিক্ষকের সন্তান। তাই শিক্ষকের অবস্থানটা আমরা ছোট থেকে বুঝেছি। আজ বিশ্ব শিক্ষক দিবসে সকল শিক্ষকদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। জাতি গঠনের অবদান শিক্ষকদেরই বেশি। আর শিক্ষকরাও আজীবনই একজন শিক্ষক হিসেবে সম্মান পেয়ে থাকেন। পাশাপাশি আজ শিক্ষকরা যে দাবি ও হতাশার কথা তুলেছেন, আমরা চেষ্টা করবো বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছানোর।
এসকে দোয়েল/এনএফ