ভোলাহাটে আ.লীগের ৩৮ নেতাকর্মীর নামে হত্যা চেষ্টার মামলা
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৩৮ নেতাকর্মীর নামে চাঁদাবাজি ও হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভোলাহাট উপজেলার বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুর রশীদ বাদী হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোলাহাট থানায় চাঁদাবাজি ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে মামলাটি করেন। এ মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলায় আসামি করা হয়েছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন আলী শাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আব্দুল খালেক, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. পিয়ার জাহান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রাব্বুল হোসেনকে।
এছাড়া এ মামলায় আরও আসামি করা হয়েছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. সাইফুল, দপ্তর সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, দলদলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. আরজেদ আলী ভুট্টু, জামবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আয়রন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বাবলু, সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. গোরিবুল্লাহ দবির, যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. কাউসার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. আশরাফুল, ছাত্রলীগের সভাপতি রফাত হোসেন (টুইংকেল), সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব, উপজেলা ছাত্রলীগর সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাব্বির, বিরেশ্বরপুর গ্রামের মো. মতিউর, ধরমপুর গ্রামের সেলিম রেজা, শিকারি গ্রামের নিখল, হাঁসপুকুর গ্রামের মো. আফজাল, বড়গাছী গ্রামের মো. সামাদ মেম্বার, পিয়ারুল ইসলাম, মিরপুর গ্রামর মো. নাসিম মেম্বার, খালেআলমপুর গ্রামের মো. আব্দুল লতিফ, হাঁসপুকুর গ্রামের মো. আতিকুল ইসলাম দুলু, মুন্সীগঞ্জ গ্রামের মো. সেলিম মেম্বার, টানু মেম্বার, মো. আনোয়ার হোসেন রজব, ভুটু মেম্বার, মো. ইয়ারমণ্ডল মেম্বার, সুরানপুর গ্রামের মো. সাইদুর রহমান, আদমপুর গ্রামের মো. রবিউল ইসলাম, তেলিপাড়া গ্রামের আজু, সুরানপুর গ্রামের হালিম, সুরানপুর গ্রামের আলিম, তরিফ ও তেলিপাড়া গ্রামের রাজু আহম্মেদ।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৩ আগস্ট বিকেল ৩টার দিকে মামলার বাদী আব্দর রশিদ সুরানপুর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় বিবাদী ইয়াসিন আলী (উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক) হুকুমে আরজেদ আলী ভুটু পথ রোধ করে কলেজ মোড় এলাকা সমাবেশ করার জন্য ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারি কিল-ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। বাদী মাটিতে অজ্ঞান হয়ে পড়ার পর আসামি মো. হালিম, রাজু, আলিম, তোরিফ আমার ঘরের ভেতর প্রবেশ করে কাঠের বাক্সের ডয়ারে থাকা গম বিক্রি করা নগদ ২ লাখ টাকা বের করে নেয়। এ সময় আসামিরা বলেন, ‘চাঁদা না দিলে কী হবে, তোর গম বিক্রি করা টাকা দিয়ে সমাবেশ করব। একই সঙ্গে তারা মামলা করলে জীবন শেষ করে দেওয়ার হুমকি দেয়।
ভোলাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিনুর রহমান বলেন, এ মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার চেষ্টা চলছে।
মো. আশিক আলী/এসকেডি