রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গৃহবধূকে তিন বন্ধুর ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
কুমিল্লার বরুড়ায় মাদরাসা থেকে ভাগনি ও ভাতিজিকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে এক গৃহবধূকে (২২) রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তিন বন্ধুর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে বরুড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরুড়া উপজেলার আড্ডা বাজারের উত্তর পাশের মালেক মাস্টার বাড়ির পাশে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল বুধবার ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি দায়ের করেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার আড্ডা এলাকার শফিক মিয়ার ছেলে মো. মানিক (৩৩), দুলাল মিয়ার ছেলে মো. রুবেল (২৮) এবং বাচ্চু মিয়ার ছেলে মো. বাপ্পি (২৫)। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রুবেলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বরুড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী নাজমুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ স্বামীর বাড়ি থেকে বেওলাইন বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন কয়েক দিন আগে। ওই গৃহবধূ বাবার বাড়িতে থাকার সুবাদে আড্ডা এলাকায় অবস্থিত আল জামিয়াতুল আরাবিয়া মাদরাসায় পড়ুয়া তার ভাইয়ের মেয়ে ও বোনের মেয়েকে মাদরাসায় দিয়ে যেতেন আবার বাড়ি নিয়ে আসতেন।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শিশু দুটিকে নিয়ে মাদরাসা থেকে ফিরছিলেন ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ। এ সময় আড্ডা বাজারের উত্তর পাশে মালেক মাস্টার বাড়ির পাশে সড়কে অটোরিকশার জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি। তার দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় অভিযুক্ত তিন বখাটে এসে ওই নারীকে তার নাম-পরিচয় জিজ্ঞেস করলে তিনি সব বলে দেন। পরে তার সঙ্গে থাকা শিশু দুটিকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে দূরে সরিয়ে নেন বখাটেদের একজন। এ সময় অপর দুইজন ওই নারীর মুখ চেপে ধরে জোর করে পাশের একটি নলকূপের ঘরে নিয়ে যান।
পরে শিশু দুটিকে সড়কের পাশে একটি জনমানবহীন ভবনের সিঁড়িতে চকলেট দিয়ে বসিয়ে রেখে ওই তিন বখাটে ভুক্তভোগী ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। এ সময় ধর্ষণকারীরা তাদের মুঠোফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ঘটনার কথা কাউকে বললে ফেসবুকে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেন। পরদিন বুধবার বিকেলে বরুড়া থানায় ওই নারী বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।
বরুড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী নাজমুল হক বলেন, এই বিষয়ে একটি ধর্ষণের মামলা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত রুবেল নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। আশা করি, দ্রুতই তাদের গ্রেপ্তার করতে পারব।
আরিফ আজগর/এমজেইউ