সুনামগঞ্জে শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় ৪ জনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত
সুনামগঞ্জে দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় এইচ এম পি উচ্চ বিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, অভিভাবক, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মারধরের সঙ্গে যুক্ত থাকা প্রমাণিত হওয়ায় এইচ এম পি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইসহাক আহমদ রিয়াম, ওয়াহিদুল ইসলাম, আবরার হাদি সাতিক এবং দশম শ্রেণির জিসানকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হয় এরা এইচ এম পি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। মারধরের এমন নমুনায় তারা মর্মাহত। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই ঘটনায় জড়িত সকলের শাস্তি হোক। আজ বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের আহ্বানে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। জরুরি সভায় শিক্ষক, অভিভাবক, সুশীল সমাজ, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী, সচেতন নাগরিকসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
জরুরি সভায় ভুক্তভোগী পরিবার ও অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলা হয়। শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে বলা হয়। এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে মানুষের মনে যে ভয় কাজ করছে সে ভয় কাটাতে উপযুক্ত বিচার নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়। পরে উপস্থিত সবার সম্মতিতে ৫ জনের কমিটির গঠনের মাধ্যমে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের জরিমানা প্রদান এবং অভিযুক্ত চারজনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর চাচা মহিম উদ্দিন বলেন, আমরা সুষ্ঠু বিচার পেয়েছি। উপস্থিত সবাই আমার ভাতিজার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এমন ন্যায়বিচারে আমরা খুশি। আর বয়স বিবেচনায় এদের (অভিযুক্ত) যাতে বহিষ্কার না করা হয় এমনটা চাই।
অভিযুক্ত রিয়ামের চাচা প্রকাশ আহমেদ বলেন, আমি আমার ভাতিজার এমন আচরণে দুঃখ প্রকাশ করছি এবং আমরা সবার কাছে লজ্জিত। আমরা আমাদের সন্তানের নজরদারি বাড়াব। ভবিষ্যতে যাতে সে এ ধরনের আচরণ না করে সে বিষয়ে খেয়াল রাখব।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইনসান মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি এই মারধরের ব্যাপারে কিছুই জানতাম না। জানামাত্রই আমি ব্যবস্থা নিয়েছি। আমাদের নেওয়া পদক্ষেপে ভুক্তভোগী পরিবার সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছে। অভিযুক্ত চার শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমি ম্যানেজিং কমিটির কাছে বহিষ্কারের ব্যাপারে লিখিত দিয়েছি।
রায়হান আলীম তামিম/এমজেইউ