দুর্নীতিবাজদের ক্ষমতায় আনলে জনগণের দুর্দশার অন্ত থাকবে না
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, চোর-দুর্নীতিবাজ, ডাকাত দিয়ে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্রগঠন করা সম্ভব নয়। যার ভেতর ইনসাফ নেই, যে দুর্নীতিবাজ, লুটেরা, ধর্ষক, জালিম সেই ব্যক্তি কীভাবে ইনসাফভিত্তিক সমাজ উপহার দেবে? কাজেই জালিম ও চোর-ডাকাতদের হাত থেকে ইসলামপন্থিদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চাঁদপুর মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ফয়জুল করীম বলেন, ইসলামপন্থি দলগুলোর ঐক্য হলে ইসলামই হবে দেশের একমাত্র চাবিকাঠি। জালিমদের হাত থেকে আল্লাহভীরু নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা সময়ের অনিবার্য দাবি। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা দ্বিতীয় বারেরমতো দেশ স্বাধীন করেছি। এ দেশ আমার, এ দেশ আপনার। দলমত, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে দেশ সবার। মুসলিমদের পাশাপাশি সবি ধর্মের মানুষ এখানে নিরাপদে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। সংখ্যালঘুদের নিয়ে যারা রাজনীতি করে তারাই হিন্দুদের মন্দিরে আক্রমণ চালায়।
তিনি বলেন, ৫ আগস্ট যে বৈষম্য ও জুলুমের বিরুদ্ধে বিজয় এনেছি। পরবর্তী সময় এসে আমরা দেখলাম সেই আগের মতোই দখলদারি, চাঁদাবাজি, ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেছে একটি গোষ্ঠী। এসব বন্ধ করতে হবে। সবাই মিলে একটি কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। একটি কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ভাগ্যাহত জনতার ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না। স্বাধীনতা অর্থবহ হবে না। রাষ্ট্র সংস্কার করে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সময়ের দাবি। কিন্তু ঘুরেফিরে দুর্নীতিবাজদের ক্ষমতায় আনলে জনগণের দুঃখ-দুর্দশার অন্ত থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে করতে হবে। এতে কালো টাকার ছড়াছড়ি বন্ধ হবে। জনগণ ভোট দেবে মার্কাতে, কোনো ব্যক্তিকে নয়। রাষ্ট্রেরও হাজার হাজার কোটি টাকা বেঁচে যাবে। চাঁদাবাজ ও দখলদারদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। এ দেশ আমাদের সবার। সব ধর্মের নাগরিকের স্ব-স্ব অধিকারের পূর্ণ নিশ্চয়তা দিতে হবে।
ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির বলেন, ইসলাম ছাড়া মানবতার মুক্তি নেই। ইসলামিক অর্থনীতি চালু হলে ঘুস থাকবে না, লুটপাট হবে না। বিগত ১৬ বছরে হাজার হাজার মায়ের বুক খালি হয়েছে, অনেক বোনকে করা হয়েছে বিধবা, বাবার ছায়া থেকে বঞ্চিত হয়ে শত শত শিশুর আর্তচিৎকার আমরা এখনো শুনি। ১৬ বছরের নারকীয় তাণ্ডবের বিচার না হওয়া পর্যন্ত তাদের ক্ষমা করার অধিকার কারো নেই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি মানসুর আহমাদ সাকী, ইসলামী আন্দোলনের চাঁদপুর জেলা সিনিয়র সহ-সভাপতি হাফেজ মাওলানা মাকসুদুর রহমান, প্রচার সম্পাদক হেলাল আহমাদ, সহ-প্রচার সম্পাদক এইচ এম নিজাম, জেলা যুবনেতা শেখ হাবিবুর রহমান, শ্রমিকনেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ বেপারী, ছাত্রনেতা রাকিব হোসাইন, হাফেজ তানজিল প্রমুখ।
আনোয়ারুল হক/কেএ