চুয়াডাঙ্গায় শর্ট সিলেবাসের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
সিলেবাস সংক্ষিপ্ত চেয়ে চুয়াডাঙ্গায় মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করেছে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা চুয়াডাঙ্গা শহরের প্রাণকেন্দ্র শহিদ হাসান চত্বরে এই কর্মসূচি পালন করেন।
শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে কোনো সংবাদকর্মী না আসায় প্রায় দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করেন তারা। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে সংবাদকর্মীরা সেখানে পৌঁছালে দাবি তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। এরপরই শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে সরে যান।
এ ছাড়া, অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজিবুল আলম ও সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. আশিস মোমতাজ। তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং শিক্ষার্থীদের দাবি লিখিতভাবে জেলা প্রশাসক কিংবা উপজেলা প্রশাসনের নিকট দেওয়ার অনুরোধ করেন।
চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাসান শাহরিয়ার অপূর্ব ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ বছর কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে সরকার পতনের আন্দোলনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন হওয়ায় তাদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটেছে। এ ছাড়া অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা সম্পূর্ণ শেষ না হওয়ায় তারা তেমন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেনি। এ অবস্থায় তাদের যে সিলেবাস দেওয়া হয়েছে, তা অনুযায়ী পরীক্ষার প্রস্তুতির পর্যাপ্ত সময় নেই।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কর্মসূচি ছিল সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের দাবিতে মানববন্ধন ও মার্চ টু চুয়াডাঙ্গা চৌরাস্তা। তবে সকাল থেকে আমাদের কর্মসূচিতে কোনও সংবাদকর্মী সংবাদ সংগ্রহ করতে না আসায় আমরা সড়ক অবরোধ করেছিলাম। এটা আমাদের কর্মসূচির মধ্যে ছিল না। পরে সংবাদকর্মীরা আসলে আমরা আমাদের দাবি জানাই।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা দাবি পরীক্ষা বাতিল নয়, মূলত দীর্ঘ ৮ মাস পাঠদান আশানুরূপ ও সন্তোষজনক না হওয়ায় ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত সিলেবাস করার এক দফা দাবি আমাদের। এ ব্যাপারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের সংবাদ কোনো গণমাধ্যমে প্রচার হচ্ছে না। কোনো সংবাদকর্মী না আসায় শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেছিল। তাদেরকে বলেছি বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানাতে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজিবুল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের দাবি লিখিত আকারে জেলা প্রশাসক বা উপজেলা প্রশাসনের কাছে দিতে বলেছি। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাব।
আফজালুল হক/এমজে