কুমিল্লায় ইউপি চেয়ারম্যানের ভাইয়ের বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষণ মামলা
কুমিল্লায় ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শেখ আক্তার হোসেন ওরফে শোয়েব আক্তার নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার গত বৃহস্পতিবার কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করে।
অভিযুক্ত শেখ আক্তার হোসেন ওরফে শোয়েব আক্তার জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা এলাকার মৃত শেখ রমিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি বাঙ্গরা পূর্ব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের আপন ছোট ভাই।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বাদীপক্ষের আইনজীবী আতিকুল ইসলাম বলেন, মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ভিকটিম শিশুটি মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা সদর এলাকার বাঙ্গরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। সে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার পথে অভিযুক্ত আক্তার হোসেন প্রায়ই তাকে উত্ত্যক্ত করতেন এবং কুপ্রস্তাব দিতেন।
গত ৯ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় ভিকটিম শিশু বিদ্যালয়ে যাওয়ার আগে পুজা দেওয়ার জন্য তুলশী পাতা আনতে পাশের বাড়িতে যায়। এ সময় পাশের বাড়ির গৌর মনি বিশ্বাস ভিকটিমকে ডেকে তার ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে পূর্ব থেকে অবস্থান করছিল আসামি শেখ আক্তার এবং তার সহযোগী শামু চন্দ্র নট্ট। গৌর মনি বিশ্বাস ভিকটিমকে নিয়ে শেখ আক্তারের হাতে তুলে দেন। এ সময় শামু চন্দ্রকে পাহারায় রেখে শেখ আক্তার হোসেন শিশুটির মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করেন। পরে ভুক্তভোগী শিশুটি কান্নাকাটি করতে করতে বাসায় গিয়ে ঘটনাটি তার বাবা মাকে জানালে তারা মেয়েকে চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। বর্তমানে শিশুটি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় তার বাবা থানায় অভিযোগ দেওয়ার চেষ্টা করে কোনোপ্রকার সহযোগিতা না পেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী ভুক্তভোগী শিশুর বাবা চন্দন দেবনাথ বলেন, অভিযুক্ত শেখ আক্তার হোসেনের বড় ভাই ইউপি চেয়ারম্যান। তারা রাজনৈতিক প্রভাবে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। আমি চরম আতঙ্কে দিন পার করছি। তাদের অনেক ক্ষমতা। আমি নিরীহ মানুষ। আমি আমার মেয়ের সঙ্গে হওয়া অন্যায়ের ন্যায় বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শেখ আক্তার হোসেনের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
আরিফ আজগর/এমএ