ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে, নয়তো স্বৈরাচারী কাঠামো ভাঙবে না
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। নয়তো এই স্বৈরাচারী কাঠামো ভাঙবে না। রাজনীতিতে আগের মতো আধিপত্য বিস্তার করার সুযোগ নেই।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে যা বলেছেন সেটি রোডম্যাপের মতোই। তিনি সবকিছু ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে করতে চেয়েছেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হয়তো অভিজ্ঞতার অভাব আছে। কিন্তু তাদের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে দাবি আদায় করতে হবে সেই সময় এখনো হয়নি। তাদের এখন সময় দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকার প্রধান ড. ইউনূস বলেছেন, নিজেদের জায়গায় সফল ছিলাম কিন্তু দেশ গড়া রাজনীতিবিদদের ব্যাপার। এখানে আমাদের অভিজ্ঞতা নেই। তাই এখানে তাদের সময় লাগতে পারে। রাজনৈতিক সরকার হলেও তো এখানে সময় লাগবে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যতটুকু সময় দরকার সেটি সরকারকে দিতে হবে। দেশের ১৭ রাজনৈতিক দল প্রায় দুই হাজার প্রস্তাব দিয়েছে। এগুলো সমন্বয় করবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আশা করছি, জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে সরকার এসব প্রস্তাবনা সমন্বয় করবে।
তিনি বলেন, এ সরকারের ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ কম। তাদের সফল হতে হবে। ভুল করলে তাদের স্পষ্ট করে বলে দিতে হবে। দেশ সংস্কারের জন্য রোডম্যাপ প্রয়োজন। তবে, টাইমলাইন বেঁধে দেওয়া ঠিক হবে না। আবার দীর্ঘায়িতও করা যাবে না।
মান্না বলেন, চাষাঢ়ায় যে জ্যাম, ট্রাফিক পুলিশ পাশে বসে আছে। তাদের কোনো বিকার নেই। তারা ভয় পায়, কিছু বললে জনগণের রোষানলে পড়বে। বিগত সরকার পুলিশ দিয়ে যে অত্যাচার করেছে এটা তারই ফল। আমরা মনে করি, রাজনৈতিক দলের উচিত এখন পরিবর্তনের ধারাটাকে বোঝা এবং নিজে পরিবর্তিত হওয়া।
তিনি বলেন, এত বড় ঘটনা ঘটাল শিক্ষার্থীরা, রাজনৈতিক দলগুলো এটা করতে পারেনি। আমরা লাখো লোকের সমাগম ঘটিয়েছি। কিন্তু পুলিশের দমনের মুখে তারা চলে গেছে। কিন্তু ছাত্ররা সাহস দেখিয়েছে। এই সাহস দেখিয়েই তারা জিতেছে। এবারের আন্দোলনের সঙ্গে অতীতের আন্দোলনের মিল নেই। এখানে কোনো নেতৃত্ব নেই, কোনো স্ট্রাকচারই নেই। এটা কালচারাল ফাইট। এটা না বুঝলে সমস্যা হবে। এই পরিবর্তন আমাদের বুঝতে হবে। আমরা সরকারকে সহযোগিতা করবো। সরকার ভুল করলে সমালোচনা যেন করা যায়, সেই পরিবেশও তৈরি হয়েছে।
মেহেদী হাসান সৈকত/কেএ