সালথায় মারধরের পর অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগে মামলা
ফরিদপুরের সালথার নবকাম পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মো. ওবায়দুর রহমানকে হাতুড়িপেটা করে পদত্যাপত্রে স্বাক্ষর নেওয়ার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১টার দিকে অধ্যক্ষ ওবায়দুর বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে সালথা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা যদুনন্দী এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি মো. কাইয়ুম মোল্লাকে। এছাড়া আসামি করা হয়েছে ওই কলেজের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য কামরুল গাজীসহ আরও আটজনকে। তবে এ মামলায় কলেজের কোনো শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়নি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ ফায়েজুর রহমান, নবকাম কলেজের অধ্যক্ষ ওবায়দুর বাদী হয়ে ‘হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টার’ অভিযোগে এ মামলাটি দায়ের করেছেন। এ মামলাটি তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হককে।
অধ্যক্ষ মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, আমাকে হাতুড়িপেটা করে পদত্যাগপত্রে সই নেয় কিছু বহিরাগত সন্ত্রাসী। এতে নেতৃত্ব দেন স্থানীয় প্রভাবশালী কাইয়ুম মোল্লা, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য কামরুলের সন্ত্রাসী বাহিনী। আমি ইচ্ছা করে পদত্যাগপত্রে সই করিনি। তাই আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি।
এ মামলার প্রধান আসামি কাইয়ুম মোল্লা বলেন, এলাকায় আমি একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিই এটা ঠিক। তবে পাল্টা আরেকটি গ্রুপের নেতৃত্ব দেন যদুনন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রব মোল্লা। ওই অধ্যক্ষও এলাকার গ্রুপিং রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণ ও আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় তাদের তোপের মুখে তিনি পদত্যাগ করেছেন। এখানে আমি কোনোভাবেই জড়িত নই। আমি নির্দোষ।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সালথা উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হক বলেন, মামলাটি তদন্ত চলছে। হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।
প্রসঙ্গত, গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে নবকাম পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মো. ওবায়দুর রহমান ও তার ছেলে কলেজে প্রবেশ করার সময় তাদের জোর করে গাড়ি থেকে নামিয়ে একটি বাগানের ভেতর নিয়ে যায় কয়েকজন দুষ্কৃতকারী ও কয়েকজন ছাত্র। এ সময় তাদের হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পরে অধ্যক্ষের কাছ থেকে জোর করে পদত্যাপত্রে স্বাক্ষর নেওয়া হয়।
জহির হোসেন/এসকেডি