হত্যার হুকুম দেওয়ায় শেখ হাসিনা-কাদের-কামালসহ ১৮১ জনের নামে মামলা
রাজশাহীতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ১৮১ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ২৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) রাতে জেলার পুঠিয়া থানায় মোসা. মাছুফা নামে এক নারী বাদী হয়ে মামলাটি করা হয়।
বাদী মাছুফা এ মামলায় অভিযোগ আনেন- তার স্বামী মজির উদ্দিনকে গুলি করে হত্যার হুকুমদাতা হিসেবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে আসামি করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় মজির উদ্দিনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। দীর্ঘ ৯ বছর পর এ ঘটনায় পুঠিয়া থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই এজাহারে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও ২৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
এজাহারের বাদী মাছুফা চারঘাট উপজেলার মাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।
এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি পুঠিয়া থানার বানেশ্বর বাজারে তৎকালীন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবু সাঈদের নেতৃত্বে সংবিধান ও গণতন্ত্র হত্যা দিবসের কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। সেখানে মজির উদ্দিনকে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও রাজশাহী-৬ আসনের সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলমের নেতৃত্বে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। গুলি চালানোর হুকুম দেন- তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
এ মামলায় আরও আসামি করা হয়েছে- সাবেক পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী এবং রাজশাহী-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল ওয়াদুদ দারা, রাজশাহী-৬ আসনের সাবেক রায়হানুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সামাদ, চারঘাট উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম, ব্যবসায়ী ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলমের বাবা শামসুদ্দিন, শাহরিয়ার আলমের ব্যক্তিগত সহকারী সিরাজুল ইসলাম, পুঠিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জিএম হিরা বাচ্চু, পুঠিয়ার সাবেক মেয়র রবিউল ইসলাম রবিসহ চারঘাট, বাঘা ও পুঠিয়া উপজেলার আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ১৮১ জন নেতা। এছাড়া আরও ২৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শাহিনুল আশিক/এফআরএস