ফেনীতে ছাত্র-জনতা আন্দোলনে গুলি, হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৬
ফেনীর মহিপালে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গুলিতে নিহতের ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সম্প্রতি দায়েরকৃত পৃথক মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য জানিয়েছেন ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রুহুল আমিন।
গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন- ফেনী পৌরসভার সুলতানপুর এলাকার মোহাম্মদ মমতাজুল হকের ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা মো. এনামুল হক, সদর উপজেলার মোটবী এলাকার মো. হানিফের ছেলে মো. আলাউদ্দিন, শহরের বারাহীপুর এলাকার মৃত মো. সাদেকের ছেলে যুবলীগ কর্মী শাহাদাত হোসেন শাহীন এবং পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শিহাবসহ ছয়জন।
ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, মামলা দায়েরের পর গত কয়েকদিন ধরে পৃথক স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে মহিপালে নিহতের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ফেনী মডেল থানায় ছয়টি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় জেলার সদ্য সাবেক তিন সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ ১ হাজার ৯২৪ জনকে আসামি করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহিপাল এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছিলেন আন্দোলনকারীরা। একই সময়ে শহরের ট্রাংক রোডে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দুপুর ২টার দিকে মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মহিপাল ফ্লাইওভারের দিকে এগোতে থাকলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এ সময় গুলি, ককটেল বিস্ফোরণে চারপাশ প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত থেমে থেমে সেখানে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে মহিপালের পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হওয়া ছাড়াও ইটপাটকেলের আঘাতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী, পথচারী ও সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৯ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
তারেক চৌধুরী/আরেক