ইনসাফ কায়েম না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে : জামায়াতের আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ঐক্যবদ্ধ একটি জাতি নিয়ে আমরা সামনের দিনে এগিয়ে চাই। নির্বাচনের সময় আসুক। আমরা আশাবাদী, নির্বাচন পাব ইনশাআল্লাহ। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজই হচ্ছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়া। নির্বাচনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করে তারা অতি শিগগিরই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেবে আমরা আশা করি।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে ঢাকায় ফেরার পথে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় সংক্ষিপ্ত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, স্বৈরাচার সরকার বিদায় হওয়ার পর মানুষ যেন আর মুসিবতে না পড়ে এজন্য আমাদেরকে পাহারাদারের দায়িত্ব পালন করতে হবে। কারণ দেশ আমাদের সবার। রাজনৈতিক দলগুলো মাঠে থাকবে যেভাবে সাড়ে ১৫ বছর স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। ইনশাআল্লাহ সত্য ও ইনসাফ কায়েম না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই, আন্দোলন চলবে।
তিনি আরও বলেন, চিরস্থায়ী শান্তি পেতে হলে চিরস্থায়ী শান্তির রাস্তা বের করতে হবে। এটি হলো আল্লাহর দেওয়া কোরআনের রাস্তা। এ রাস্তা ধরে বাংলাদেশ আগাবে ইনশাআল্লাহ। সেগুলোর জন্য আমাদের সকলের প্রস্তুতি নিতে হবে। যে দিন এ রাস্তা চলে আসবে সেদিনই বাংলাদেশে শান্তি কায়েম হবে। শান্তি পাবে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান। শান্তি পাবে আপামর জনসাধারণ।
নির্বাচনের ব্যাপারে প্রত্যাশার কথা জানতে চাইলে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে আমরা এখনো কিছু বলতে চাচ্ছি না। আরও কিছু দিন দেখে আমরা আমাদের স্পষ্ট ম্যাপ তৈরি করবো।
রাজবাড়ী জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলাম বলেন, কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে ঢাকা ফেরার পথে দৌলতদিয়া ঘাটে স্বল্প পরিসরে পথসভায় বক্তব্য দেন আমাদের জামায়াতে আমির। রাজবাড়ী জেলা জামায়াত তার আগমন উপলক্ষ্যে সর্বস্তরের জনশক্তি সঙ্গে নিয়ে এই পথসভাকে সফল এবং সার্থক করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছি। আমিরে জামায়াতের উপস্থিতিতে রাজবাড়ী জেলাবাসী গর্বিত।
এ সময় ফরিদপুর জেলা জামায়াতের আমির মো. বদর উদ্দিন, রাজবাড়ী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির হাসমত আলী হাওলাদার, সেক্রেটারি আলিমুজ্জানসহ জেলা ও উপজেলার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/এমজেইউ