শিক্ষকদের পাঠদান বন্ধের ঘোষণার ৩০ মিনিট পর প্রত্যাহার
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে শিক্ষকদের লাঞ্ছনার প্রতিবাদে পাঠদান বন্ধের ঘোষণার ৩০ মিনিট পরে তা প্রত্যাহার করেছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে সকালে উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমি হক ও সেনাবাহিনীর পক্ষে লেফট্যানেন্ট জেনারেল মুরাদ আহম্মেদ, কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল এক আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন। এ সময়ে তারা শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দেন।
উপজেলা শিক্ষক সমিতি নেতারা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কিছু অসাধু ও স্বার্থান্বেষী মহল শিক্ষকদের সম্মান নষ্ট করতে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তারা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে স্থানীয়দের দিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করছেন। শিক্ষকদের লাঞ্ছনার পাশাপাশি শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। তাদের এসব কর্মকাণ্ডে শিক্ষকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির এক জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শনিবার বিকেল ৪টার দিকে সাংবাদিকদের একটি প্রেস ব্রিফিং মাধ্যমে পাঠদান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। সেটি জানানোর পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমি হক শিক্ষকের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দিলে পাঠদান বন্ধের সিদ্ধান্তের ৩০ মিনিট পরেই তা প্রত্যাহার করে নেন।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, শিক্ষকদের লাঞ্ছনার প্রতিবাদে আমরা শনিবার বিকেলে এক সভায় পাঠদান বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমাদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিলে ৩০ মিনিট পরে তা প্রত্যাহার করি।
শরিফুল ইসলাম/আরকে