ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৪০ কিলোমিটার তীব্র যানজট
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রায় ৪০ কিলোমিটার তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। এর ফলে প্রচণ্ড ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও চালকরা।
বুধবার (২৮ আগস্ট) সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র। এদিন সকাল ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চট্টগ্রামমুখী লেনে দূরপাল্লার বাস, কাভার্ডভ্যান ও মাইক্রোসহ অনেক গাড়ি আটকে থাকতে দেখা গেছে।
চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বুধবার ভোর ৫টায় সায়দাবাদ থেকে গাড়ি ছাড়লেও চিটাগাং রোড পর্যন্ত আসতে সাড়ে ১০টা বেজে গেছে। ঢাকা থেকে মেঘনা পর্যন্ত চট্টগ্রামমুখী লেনে ৪০ কিলোমিটার তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
তীব্র যানজটের মুখে বাসচালক থেকে শুরু করে যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা গন্তব্যস্থলে যাওয়ার জন্য মহাসড়কে অবস্থান করতে হচ্ছে। এর ফলে ২০ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে ৫ ঘণ্টার বেশি সময় লাগছে।
আফজাল নামে এক যাত্রী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভোরে নরসিংদীর বাবুরহাট যাওয়ার জন্য সায়দাবাদ মোড় থেকে বাসে উঠেছিলাম। কিন্তু চিটাগাংরোড পর্যন্ত আসতে সাড়ে ১০টা বেজে যায়।
মাইক্রোবাসের চালক আব্দুল কাদের বলেন, আমি সকাল ৬টার সময় এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়েছি। যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার পর্যন্ত আসতে আমার ২০ মিনিট সময় লেগেছে। তারপর থেকে চিটাগাং রোড আসতে সাড়ে ১০টা বেজেছে। আবার কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আসতে আমার সাড়ে ৭ ঘণ্টা সময় লেগেছে। রাস্তায় এখনও প্রচুর যানজট। সারা দিনেও পৌঁছাতে পারবো কিনা বুজতে পারছি না।
জয়নাল আবেদীন নামে বিআরটিসির বাসচালক বলেন, মিরপুর ১৪ নম্বর থেকে সকাল সাড়ে ৫টায় গাড়ি ছেড়েছি। শনিরআখড়া থেকে যানজট শুরু হয়েছে। রাস্তায় যানজট এতোই যে চিটাগাং রোড মোড়ে এসে বাস আর সামনে আগানোর মতো অবস্থা নেই। যাত্রীরাও বিরক্ত হয়ে বাস থেকে নেমে যাচ্ছে। বাকি পথ পার হতে আরও কত ঘণ্টা লাগে কি জানি।
হাইওয়ে থানার ডিউটি অফিসার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সোহেল রানা বলেন, ভোর থেকে বিভিন্ন ট্রাক, পিকআপভ্যানে করে বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যাচ্ছেন অনেকে৷ তাদের গাড়িগুলো আগে নেওবার জন্য অন্য যানবাহনগুলোকে সাইড করে রাখেন ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যাওয়া লোকজন৷ এ কারণে সড়কে একটা বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়, তৈরি হয় দীর্ঘ যানজট৷ পরিস্থিতি ঠিক করতে আমাদের টিম কাজ করছে৷
এফআরএস