শব্দ দূষণের দায়ে অর্থদণ্ড
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উচ্চস্বরে সাউন্ড সিস্টেম বাজিয়ে শব্দ দূষণের অপরাধে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। শনিবার (১ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার ক্ষেমিড়দিয়ারে ভাটাপাড়ার এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত এ অভিযান পরিচালনা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সোহেল মারুফ।
দণ্ডপ্রাপ্ত শরীফুল ইসলাম (৪০) ভেড়ামারা উপজেলার ক্ষেমিড়দিয়ারে ভাটাপাড়ার এলাকার জামাত আলীর ছেলে।
ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল মারুফ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
তিনি বলেন, ক্ষেমিড়দিয়ারে ভাটাপাড়ার এলাকায় বাসার লাইন থেকে বিদ্যুৎ দিয়ে উচ্চস্বরে সাউন্ড সিস্টেম বাজানোর অপরাধে শরীফুল ইসলামকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে সাতদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এমন অভিযান চলমান থাকবে।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, শব্দ দূষণকে বলা হয় নীরব ঘাতক। কুষ্টিয়ায় শব্দ দূষণের বহু উৎস রয়েছে। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি। গাড়ির হর্ন, নির্মাণকাজ, মাইকের ব্যবহার, শিল্পকারখানা— সব ক্ষেত্রেই শব্দ দূষণ বিষয়ে যেসব নিয়ম রয়েছে তা মানা হচ্ছে না।
শব্দ দূষণের কারণে বধিরতায় আক্রান্ত, ক্ষুধামন্দা, রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া, কাজে মনোযোগী হতে না পারা, কানের মধ্যে ভোঁ ভোঁ করাসহ হৃদরোগের সমস্যাও হতে পারে৷
তিনি আরও বলেন, শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে যে বিধিমালা রয়েছে সেখানে বিস্তারিত বলা আছে; কোনো এলাকায়, দিনের কোনো সময়ে, কোন ধরনের শব্দের মাত্রা কেমন হবে। আর তা না মেনে চললে সাজার বিধানও রয়েছে।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিধিমালা অনুযায়ী আবাসিক এলাকায় রাত ৯টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত শব্দের মাত্রা ৪৫ ডেসিবেল এবং দিনের অন্য সময়ে ৫৫ ডেসিবেল অতিক্রম করতে পারবে না। বাণিজ্যিক এলাকায় তা যথাক্রমে ৬০ ও ৭০ ডেসিবেল।
এমএসআর