বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর : আ.লীগের ৪৪৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
বরগুনার আমতলী উপজেলায় বিএনপির দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানকে প্রধান আসামি করে উপজেলার ৭ ইউপি চেয়ারম্যানকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও মোট ৯৩ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৩৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
শনিবার (২৪ আগস্ট) আমতলী থানায় উপজেলা ছাত্রদল আহ্বায়ক সোয়েব ইসলাম হেলাল ৫৫ জনের নাম এবং পৌর যুবদল সভাপতি জাকির হাওলাদার ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে এ মামলা দুটি দায়ের করেন।
মামলায় অন্য অভিযুক্তরা হলেন— উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম ওসমানী হাসান, সাবেক উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. মজিবুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি সাবেক পৌর মেয়র নাজমুল আহসান নান্নু, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন খাঁন, গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম, গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মনি, আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রিপন, কুকুয়া ইউনিউন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. বোরহান উদ্দিন মাসুম তালুকদার, হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক, চাওড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বাদল খাঁন, আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধা, আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সোহেলী পারভীন মালা ও আঠারোগাছিয়া যুবলীগ নেতা সোহেল রানাসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের ৯৩ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৩৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মোট ৪৪৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, গত ৫ আগস্ট দুপুরের দিকে অভিযুক্ত আসামিরা বিভিন্ন এলাকা থেকে রামদা, ছেনা, লোহার রড, বগি, লোহার পাইপসহ বাশের লাঠি হাতে নিয়ে শহরে আসেন। তারা বিভিন্ন সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও যানবাহনের ক্ষতিসাধন করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের মাধ্যমে জনমনে ভীতি তৈরি করে পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির আমতলী অফিস কার্যালয়ে হামলা চালান। এসময় অফিসে থাকা মূল্যবান আসবাবপত্র কুপিয়ে ও পিটিয়ে ভাঙচুর করা হয়। এছাড়াও অফিসে থাকা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছবি ভাঙচুর করা হয়। এসব ভাঙচুরের কারণে অফিসের বিভিন্ন জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
মামলার বাদি মো. সোয়েব ইসলাম আরও উল্লেখ করেন, অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের সময় আমরা প্রতিবাদ করি। এ সময় উপস্থিত আসামিরা ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে শক্তির মহড়া দেখিয়ে আমাদেরকে ধাওয়া করেন। পরে প্রাণের ভয়ে আমরা বাধ্য হয়ে বিভিন্ন দিকে দৌড়ে চলে যাই।
এ বিষয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগে থানায় দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমএ